সংক্ষিপ্ত

হাইকোর্টের রায়কে চ্য়ালেজ্ঞ করে রাজ্য সরকার আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সোমবার সেই মামলা উঠেছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় , বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মজোজ মিশ্রের বেঞ্চে। মামলা ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রত্যাখ্যান করে

 

সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রাম নবমীতে রাজ্যে হিংসার মামলার তদন্তের নির্দেশ এনআইএ-কে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু সোমবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দেয়। কলকাতা হাইকের্টের রায়ই বহাল রাখে। পাশাপাশি প্রধানবিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দেয় তার বিশেষ লিভ পিটিশন গ্রহণ করতে আগ্রহী নয়।

হাইকোর্টের রায়কে চ্য়ালেজ্ঞ করে রাজ্য সরকার আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সোমবার সেই মামলা উঠেছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় , বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মজোজ মিশ্রের সমম্বয় গঠিত বেঞ্চে। মামলা ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তা প্রত্যাখ্যান করে সুপ্রিম কোর্ট। তিন বিচারপতি বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, 'আমরা বিশেষ লিভ পিটিশন (SPL) গ্রহণ করতে আগ্রহী নই।'

পশ্চিমবঙ্গ সরকার এদিন সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল, রাজ্যে রাম নবমীর হিংসায় কোনও বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়নি। রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট এনআইএ-কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। যার অর্থ রাম নবমীর হিংসা মামলার তদন্ত করবে জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ।

রাম নবমীর সময় গত ৩০ মার্চ ছেকে ৩ এপ্রিল রাজ্যের চারটি থাকায় হিংসা ও বিস্ফোরণের মত ঘটনার ৬টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থার তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে বিস্ফোরকজাতীয় রাসায়নিকের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত এই বিষয় সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি জাতীয় তদন্ত সংস্থার হাতে তুলে দেয়নি। পাল্টা রাজ্য সরকারের আইনজীবী হোপালশঙ্কর নারায়ন বলেন এই অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক। কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার দুই সম্প্রদায়ের অভিযুক্তদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট বোমার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।

গত ২৭ এপ্রিল রাম নবমী উদযাপনের সময় ও পরের কয়েকটি দিন হাওড়ার শিবপুর ও হুগলির রিষড়ায় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাগুলির তদন্তের ভার কলকাতা হাইকোর্ট এনআইএ-কে দিয়েছিল। যদিও আগে থেকেই সেই ঘটনার তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরই তদন্ত সংক্রান্ত যাবতীয় নথি, তথ্য প্রমাণ, সিসিটিভি ফুটেজ এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।