সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রীকে গ্রেফতারির পর থেকে আঁটঘাঁট বেঁধেই কাজে নেমেছে ইডি। প্রাথমিকভাবে এইরকম ৩টি ভুয়ো কোম্পানিকে চিহ্নিত করেছিলেন গোয়েন্দারা। তবে এদিন যা তথ্য সামনে এসেছে তাতে মাথায় হাত খোদ ইডি গোয়েন্দাদের।
প্রথমে বাকিবুর রহমান, সেই সূত্র ধরেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আপাতত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ইডির জালে। এরপর থেকেই উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য! যে তথ্য পেয়ে ইডি আধিকারিকদের চোখ কার্যত কপালে। ইডির আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, একাধিক কোম্পানির মাধ্যমে রেশনের টাকা নয়-ছয় করা হয়েছে। দুর্নীতির টাকা পাচারে একের পর এক ভুয়ো কোম্পানির নাম সামনে এসেছে। এই কোম্পানিগুলোর মাধ্যমেই দুর্নীতির টাকা সাদা করা হত। এরকম আরও ১০ টি ভুয়ো সংস্থার হদিস পেয়েছে ইডি।
কী কী তথ্য পেল ইডি
স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রীকে গ্রেফতারির পর থেকে আঁটঘাঁট বেঁধেই কাজে নেমেছে ইডি। প্রাথমিকভাবে এইরকম ৩টি ভুয়ো কোম্পানিকে চিহ্নিত করেছিলেন গোয়েন্দারা। তবে এদিন যা তথ্য সামনে এসেছে তাতে মাথায় হাত খোদ ইডি গোয়েন্দাদের। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল ভুয়ো কোম্পানিগুলি নিজের স্ত্রী, কন্যা, পরিবারের সদস্যদের দিয়ে চালাতেন জ্যোতিপ্রিয়। ইডি সূত্রে খবর, নতুন যে ১০ কোম্পানির হদিস মিলেছে সেই সব কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক হাওড়ার বাসিন্দা অভিজিত্ দাসের।
নাম জড়াল মমতার!
এই ভুয়ো কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে অভিজিত্ দাসের মা মমতা দাস ও তার স্ত্রী সুকন্যা দাসের নামও ব্যবহার করা হয়েছে বলে খবর। ইডি সূত্রে খবর, ৩ কোম্পানির দুটির ডিরেক্টর মমতা দাস ও সুকন্যা দাস। অন্যদিকে অভিজিত্ দাসের একার নামেই রয়েছে আরও ৩টি কোম্পানি। এছাড়াও তার বাড়ির পরিচারককেও একটি সংস্থার ডিরেক্টর করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এমনটাই সূত্রের খবর। ইডির দাবি মন্ত্রী নিজের ঘনিষ্ট মানুষদের দিয়ে এই ভুয়ো সংস্থাগুলি চালাতেন। তবে এসবের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতেই রাখতেন জ্যোতিপ্রিয়।
রহস্যময় মেরুন ডায়েরি
এখানে উল্লেখ্য, মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিত্ দাসের বাড়ি থেকে ইডি উদ্ধার করেছে মেরুন ডায়েরি। যেই ডায়েরির পাতায় পাতায় দুর্নীতির লেনদেন লেখা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই ডায়েরি থেকে আর কী কী তথ্য হাতে আসে সেটাই দেখার।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।