সংক্ষিপ্ত
ইডি শান্তনু আর কুন্তলকে একই সঙ্গে বসিয়ে জেরা করতে চায়। তারণ প্রভাবশালীদের কথা বলেছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রভাবশালীদের পর্দা ফাঁস করলেন বহিষ্কৃত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনই খবর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, জেরায় শান্তনু জানিয়েছেন, তিনি যা করেছেন তা প্রভাবশালীদের নির্দেশেই করছেন। পাশাপাশি তিনি নাকি জানিয়েছেন, তিনি প্রভাবশালীদের থেকে তিনি নির্দেশ পেতেন, সেই নির্দেশই তিনি কুন্তলকে কার্যকর করার জন্য দিতেন। শান্তনু আর তাঁর স্ত্রীর প্রায় ২০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে বলেও ইডি সূত্রের খবর। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অপর অভিযুক্ত তথা বহিষ্কৃত কুন্তল ঘোষের মুখোমুখি শান্তনুকে বসিয়ে জেরা করতে চায় বলেও ইডি সূত্রের খবর।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রথম থেকেই ইডিন নজর ছিল প্রভাবশালীদের দিকে। সূত্রের খবর শান্তনুর স্বীকারোক্তি তাদের তদন্ত অনেকটাই এগিয়ে দেবে বলেও আশা করছেন আধিকারিকরা। সূত্রের খবর , জেরায় শান্তনু জানিয়েছেন, কয়েক জন প্রভাবশালী তাঁকে নির্দেশ দিত। সেই নির্দেশই তিনি পৌঁছে দিতেন কুন্তল ঘোষের কাছে। কুন্তলই প্রভাবশালীদের সেই নির্দেশ কার্যকর করত। অন্যদিকে এদিন নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তলকে পেশ করা হয়েছে। তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সূত্রের খবর ইডি কুন্তলের জামিনের আবেদনের বিরুধীতা করবে। কারণে শান্তনুকে জেরা করে পাওয়া প্রভাবশালী তত্ত্ব কতটা সত্যি তা জানতে কুন্তলের মুখোমুখী শান্তনুকে বসিয়ে জেরা করাই তাদের মূল লক্ষ্য। সূত্রের খবর ইডি শান্তনু-কুন্তলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায়।
অন্যদিকে তদন্তে নেমে শান্তনু, তাঁর স্ত্রী ও তাদের সংস্থার প্রায় ২০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান তারা পেয়েছে। প্রতিটি অ্যাকাউন্টই ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে ১ কোটিরও বেশি টাকা রয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। আগে আবশ্য শান্তনুর স্ত্রীকেও একবার জেরা করেছে ইডি। তার কাছ থেকেও প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়েছে।
১০ মার্চ শান্তনুকে গ্রেফতার করে ইডি। মূলত কুন্তলকে জেরা করেই শান্তনুর কথা জানতে পেরেছিল ইডি। যদিও প্রথমে শান্তনু জানিয়েছিলেন কুন্তলই এই নিয়োগ দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড। কিন্তু এবার জেরায় শান্তনুই আবারও সামনে আনল প্রভাবশালী তত্ত্বকে। শান্তনুর এই প্রভাবশালী কারা তা জানতে আরও জেরার প্রয়োজন বলেও সূত্রের খবর। ইডি সূত্রের খবর কুন্তল আর শান্তনুর কাছে দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রচুর তথ্য রয়েছে যা তাদের জেরা করলেই সামনে আসতে পারে। আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল কুন্তলকে। তবে সম্প্রতি দুই যুব তৃণমূল নেতাকেই একই দিনে একই সঙ্গে বহিষ্কার করেছে দল।