সংক্ষিপ্ত
নিজের আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও চান কালীঘাটের কাকু।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আপাতত ইডি হেফাজতে 'কালীঘাটের কাকু'। এবার কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ করলেন তিনি। ইডির বিরুদ্ধে অসাংবিধানিক পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার অভিযোগ তুললেন তিনি। এই আদালতে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। আদালতকে তিনি জানিয়েছেন, দোষ কবুল করে নেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছে ইডি। বিচারভবনে দেওয়া চিঠিতে এও বলা হয়েছে যে তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে তা যেন তিনি স্বীকার করে নেন, সেই জন্য তাঁকে অসাংবিধানিকভাবে চাপ দিচ্ছেন ইডির গোয়েন্দারা।
এই মর্মে নিজের আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও চান কালীঘাটের কাকু। আদালতের কাছে তিনি আরও অভিযোগ করেন হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর আইনজীবী সেলিম রহমান তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাই এবার আইনজীবীর সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে দেখা করার অনুমতি চেয়ে চাইলেন তিনি। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর, ১৯৭৩’-এর ৪১ডি ধারা অনুযায়ী ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সময় আইনজীবীকে পাশে পাওয়ার অধিকার আছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, গত বুধবারই 'কালীঘাটের কাকু'র ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার আদালতে পেশ করা হয় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। বুধবার আদালত জানায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থেই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার গ্রেফতারির পরই দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ চালায় ইডি। কিন্তু ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে তদন্তে সহোযোগিতা করছেন না তিনি। মঙ্গলবার রাতে ১২ ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদের পরই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এরপর বুধবার ভদ্রকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় ইডি। ইডির আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে গিয়েছে এক প্রভাবশালী থেকে আর এক প্রভাবশালীর মধ্যে। তদন্তের জাল ফেলে এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পরই উঠে আসছে অপর আরেকজনের নাম। সেই ভাবেই হুগলী থেকে গ্রেফতার হওয়া এককালীন যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় উঠে এসেছিল ‘কালীঘাটের কাকু’-র কথা, তদন্তে নেমে দেখা গিয়েছিল যাঁর আসল নাম, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নিয়োগ দুর্নীতিতে এই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ভূমিকা কতদূর বিস্তৃত, তার খোঁজ করতে নেমেই এবার বড় পদক্ষেপ নিল ইডি।