সংক্ষিপ্ত
নিয়োগ দুর্নীতিকে কাদের রাজসাক্ষী করার পরিকল্পনা চলছে বৃহস্পতিবারই তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় আদালত। পাশাপাশি বলে গোটা রাজ্যেই সংগঠিত অপরাধ হয়েছে নিয়োগের ক্ষেত্রে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জাল কি এবার গুটিয়ে আনতে চলেছে সিবিআই- এই প্রশ্নই দানা বাঁধছে। কারণ বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে সিবিআই স্পষ্ট করে জানিয়েছে রাজ্যজুড়ে সংগঠিত অপরাধ চক্রের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। সেক্ষেত্রে যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রা কম তাদের মধ্যে থেকে কাউকে রাজসাক্ষী করার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এই ধরনের অভিযুক্তদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
এদিন আদালতে মুর্শিদাবাদের বড়োঝার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা -সহ ৯ জন অভিযুক্তকে আলিপুরের সিবিআইএর বিশে। আদালতে পেশ করা হয়। অভিযুক্তদের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা প্রশ্ন তোলেন সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে তাদের মধ্য থেকে সকলকে গ্রেফতার করা হয়নি। শুধুমাত্র কয়েক জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এই বৈরিতা কেন। তারই উত্তরে সিবিআই আইনজীবী জানান নগোটা রাজ্য সংগঠিত অপরাধ হয়েছে। যাদের অপরাধের মাত্রা বেশি তাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে। তুলনায় যাদের অপরাধের মাত্রা কম তাদের রাজসাক্ষী করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজাবীরা প্রশ্ন তুলেছে এসএসসির সার্ভারে ঢুকে নম্বর পরিবর্তন করার অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে চার্জশিটে নাম থাকলেও এখনও পর্যন্ত তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। পাল্টা সিবিআই বলেছে, তারা সবকিছুই ক্ষতিয়ে দেখছে। যাদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদেরই এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি পারিপাশ্বিক চাপে পড়ে যারা দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছে বা অপরাধের মাত্র কম তাদেরও পরেও নজর রয়েছে। প্রয়োজনে তাদেরই রাজসাক্ষী করা হবে। এই ধরনের অভিযুক্তদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত এদিন সুব্রত সামন্তকে ১৪ জুন ও বাকিদের ১৫ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আগেই সিবিআই-এর চার্জশিটে উঠে এসেছিল সরকার আধিকারিক তথা শিক্ষা সচিত মণীশ জৈন ও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্যের নাম। কিন্তু এদের এখনও পর্যন্ত তেমনভাবে জেরা হয়নি। যাই এই পর্যায়ে আবারও উঠে আসছে এমন সব সরকারি কর্মী বা আধিকারিকদের নাম যারা জড়়িয়ে গিয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে। কারণ এইসব সরকারি কর্মীদের প্রয়োজনে রাজসাক্ষী করার কথাও বিচেচনা করছে সিবিআই- তেমনই খাবর সিবিআই সূত্রে।
অন্যদিকে ইডি-এর হাতে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, যিনি কালীঘাটের কাকু নামেরই জনপ্রিয়। তাকে বৃহস্পতিবার থেকে জেরা করতে শুরু করেছে ইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাত্র ১৪ দিন সময় দিয়েছে আদালত। সূত্রের খবর কালীঘাটের কাকু শান্তনু কুন্তলদের তিনি নিয়োগ দুর্নীতিতে দালাল হিসেবেই ব্যবহার করতে। কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের।