সংক্ষিপ্ত

প্রয়োজনে শ্বেতা ইডিকে সাহায্য করবেন বলেও জানিয়েছেন শ্বেতা চক্রবর্তীর বাবা অরুণ চক্রবর্তী।

অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়, সোমা চক্রবর্তীর পর এবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে উঠে আসছে শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূলনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল। অয়নের সূত্র ধরেই দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে শ্বেতার। অয়নের সঙ্গে শ্বেতার মোটা অঙ্গের টাকার লেনদেনদের হিসেব এসেছে ইডির হাতে। পাশাপাশি তরুণীর দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার একাধিক ইঙ্গিত মিলেছে। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি সাহায্য করবেন শ্বেতা। এমনটাই জানালেন শ্বেতা চক্রবর্তীর বাবা অরুণ চক্রবর্তী। বুধবার তরুণীর নৈহাটির বাড়িতে তাঁর খোঁজ না মেলেনি। মেয়ের প্রসঙ্গে শ্বেতার বাবা জানালেন, শ্বেতা চক্রবর্তী বাড়িতে নেই। তবে তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন সে। যোগাযোগ রাখছেন ইডির সঙ্গেও। প্রয়োজনে শ্বেতা ইডিকে সাহায্য করবেন বলেও জানিয়েছেন শ্বেতা চক্রবর্তীর বাবা অরুণ চক্রবর্তী।

জানা যাচ্ছে অয়ন শীলের হাত ধরেই টলিউডে পা রাখেন শ্বেতা। অয়নের প্রোডাকশন হাউসের প্রোযোজনায় নির্মিত ছবি 'কবাডি কবাডি'তেই ডেবিউ করেছিলেন তিনি। ওই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, অর্জুন চক্রবর্তীর মতো অভিনেতারা। ছবির পরিচালনায় ছিলেন কৌশিক গাঙ্গুলী। যদিও ছবির কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। বড় পর্দায় দেখা না গেলেও বহু শর্ট ফিল্ম ও মডেলিং প্রজেক্টে দেখা গিয়েছে শ্বেতাকে। অয়ন শীলের সল্ট লেকের ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে 'কাবাড্ডি কাবাড্ডি' ছবি-সংক্রান্ত কাগজপত্রও। এই সিনেমায় কে কত টাকা পারিশ্রমিক পেত সেই সংক্রান্ত নথিও মিলেছে। প্রসঙ্গত আগেই জানা গিয়েছে অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতার অ্যাকাউন্টে ২৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। অয়নের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে একটি রয়েছে শ্বেতারও। শুধু তাই নয় শ্বেতার নামে রয়েছে একটি হন্ডা সিটি গাড়িও। ইডির সন্দেহ এই বিলাসবহুল গাড়ির টাকা আসে অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতার অ্যাকাউন্টে ট্রেনসফার হওয়া ২৫ লাখ টাকা থেকেই।

অয়নের সল্টলেকের ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওএমআর শিটও। অয়ন শীলের সূত্র ধরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে এসেছে আরও এক নতুন নাম। অয়নের ঘনিষ্ঠ বন্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে মোটা টাকার লেনদেনের হিসেবও এসেছে ইডির হাতে। তবে এখানেই শেষ নয়। জানা যাচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডেও ঢেলেছিলেন অয়ন শীল। বান্ধবী শ্বেতাকে সিনেমায় নামাতে নিজের প্রোডাকশন হাউসো খোলেন তিনি। শ্বেতা একাধারে কামারহাটি পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতেন আবার পাশাপাশি মডেলিংও করতেন। সূত্রের খবর ২০১৭ সালে অয়নের স্ত্রীর মাধ্যমেই শ্বেতার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। অয়নের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করতেন শ্বেতা।

আরো পড়ুন -

প্রায় ১০০ কোটি টাকার চাকরি বিক্রি করেছিল অয়ন, নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন তথ্য ইডির হাতে

টলিউডেও টাকা ঢেলেছিলেন অয়ন শীল, তাঁর প্রোডাকশন হাউসের সিনেমাতেই ডেবিউ শ্বেতার

মানিক ভট্টাচার্যকে টানা ২ মাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ, প্রভাবশালী তত্ত্বে জামিনের বিরোধিতা ইডির