সংক্ষিপ্ত

রেখা পাত্র বলেন, সময় হলেই সন্দেশখালিতে যাব। আমি চোর নই যে লুকিয়ে থাকব। সময় হলেই সেখানে যাব। এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।

 

তিন লক্ষের বিশাল ব্যবধানে বসিরহাট লোকসভা থেকে হেরে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। অথচ বিজেপি এই কেন্দ্রের ওপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রেখেছিল। হাল ছেড়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসও। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়ে সংসদে যাচ্ছেন জয়ী হাজি নুরুল। কিন্তু কেন? যে কেন্দ্রের ওপর আস্থা রেখেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী- সেই কেন্দ্রে হার কেন? নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আগেই সেই হারের কারণ ব্যাখ্যা করছেন রেখা পাত্র। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, 'যারা পিছন থেকে ছুরি মেরেছে তাঁরা সময় মত ঠিকই জবাব পাবে।'

রেখা পাত্র একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তাঁর সন্দেশখালি থেকে গায়েব হয়ে যাওয়ার কারণও জানান। স্থানীয় সূত্রে খবর ভোটের ফল প্রকাশের পর আর সন্দেশখালিতে দেখা যায়নি রেখা পাত্রকে। এদিন রেখা বলেন, 'সময় হলেই সন্দেশখালিতে যাব। আমি চোর নই যে লুকিয়ে থাকব। আমি কবে যাব সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই লড়াই শক্তিশালী করার জন্য মানুষের পাশে দাঁড়াব।' কী কারণে বসিরহাটে হেরে গেছেন রেখা পাত্র? সেই প্রশ্নের উত্তরে রেখা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি হেরে যাননি। তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। রেখা বলেন, 'যারা এই হারের পিছনে আছে, আমাদের যে কর্যকর্তারা দলকে পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন তারা একদিন এর জবাব পেয়ে যাবেন। যে দল সম্মান দিল, সেই দলকে অসম্মাণিত করার জন্য তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওঁরা যা করেছেন তার জবাব পেতে হবে। এই হার মানছি না। ' তারপরই রেখাকে প্রশ্ন করা হয় তাহলে কে ছুরিটা মারল? উত্তরে রেখা বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী , বিরোধী দলনেতাকে ছোট করার জন্য প্ল্যানিং করে আমাকে হারান গয়েছে। এই হার বা পরাজয় মানছি না। যতই মিথ্যা আশায় বুক বাঁধুন, বেশিদিন থাকতে পারবেন না। ' তবে কারা এই অন্তর্ঘাত করেছেন তা জিজ্ঞাসা করা হলে রেখা জানিয়ে দেন, সেটা তাঁর কাজ নয়। সেই কাজের জন্য রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা।

এদিন রেখা পাত্র আরও বলেন, তিনি অত্যাচারিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পাল্টা বিজেপি ঘরছাড়া হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে অনেকেই সমর্থন করেছেন। আগামী দিনে যেখানে অত্যাচার হবে সেখানেই তিনি প্রতিবাদ করতে যাবেন। তিনি রাজনীতিতে থাকবেন বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে এদিন রেখা বিজেপির পরাজিত প্রার্থী দিলীপ ঘোষ, অমৃতা রায়ের সুরেই দলের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত করে তাঁকে হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। যদিও গণনার দিন রেখা বলেছিলেন, তাঁকে রাজ্য পুলিশ ও তৃমমূল কংগ্রেস হুমকি দিচ্ছে- হাত পা বেঁধে ঘরের মধ্যে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার। এদিন অবশ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি। পাল্টা দলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।