সংক্ষিপ্ত

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বনধ ও ধিক্কার দিবসের ডাক। পরিষেবা সচল রাখতে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নবান্ন।

আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরচ অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ওপর যৌন নির্যাতন ও খুনের প্রতিবাদে রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। বাম ও বিজেপি একজোট হয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। শুক্রবার রাজ্যজুড়ে কোথাও বনধ, কোথাও ধিক্কার দিবসের ডাক দেওয়া হয়েছে। তাতে র আগামিকাল, শুক্রবার কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই কোথাও পরিষেবা অচল হতে পারে। এই অবস্থায় রাজ্যে সব পরিষেবা সচল রাখতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে নবান্ন।

নবান্ন একটি নোটিশ জারি করেছে। সেখানে আগামিকাল সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার সমস্ত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিভিন্ন পরিবহন সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়ে পরিষেবা সচল রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। মুখ্যসচিবের নামে একটি নোটিশ জারি করে রাজ্যের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন রাজভবনে যাওয়ার আগেই মমতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেই সময়ই তিনি বলেন, রাজ্য সরকার বনধ বিরোধী। কর্মসংসংস্কৃতি সচল রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নেবে সরকার।

নবান্ন থেকে বিবৃতি দিয়ে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা জানিয়েছেন, 'পরিবহন পরিষেবা অন্য দিনের মতো শুক্রবারও স্বাভাবিক থাকবে। যান চলাচল যাতে কোনও ভাবে ব্যহত না হয়, ,স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথরিটির সচিবকে তা নিশ্চিত করতে বেসরকারি পরিবহন অপারেটর ও সমিতিগুলির সঙ্গে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে। সমস্ত অপারেটরকে পরিবাহণ বিভাগের নির্দেশ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।'

যদিও এদিনই শুভেন্দু অধিকারী বনধের ডাক দিয়েছেন। বলেছেন, রাস্তা রোকো, দোকানপাট বন্ধ- সেভাবেই হোক রাজ্যকে স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। বিজেপি নেতার মন্তব্যের পরই পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলেও মনে করছে বিরোধীরা।

গত শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালে এক চিকিৎসকের মৃতদের উদ্ধার হয়। তাঁকে খুন ও ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এপর্যন্ত একজনকে মাত্র গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। এই অবস্থায় বুধবার রাতে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ও আরজি করের নিহত চিকিৎসকের স্মরণে গোটা রাজ্যেই মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি চলার সময়ই আরজি কর হাসপাতাল একদল অজ্ঞাতপরিচয়কারী হামলা চালায়। জরুরি বিভাগ সহ একাধিক এলাকায় ভাঙচুর চালায়। আন্দোলনকারী ও পড়ুয়াদেরও মারধর করে বলে অভিযোগ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।