সংক্ষিপ্ত
আজও হয়তো কাটবে না আরজি জট! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচারের দাবিতে অনড় রয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের ৩০ জন প্রতিনিধি। তাঁরা নবান্ন সভাঘরের বাইরে বসে রয়েছেন। আর ভিরতে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষায় বসে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছে, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় নবান্ন সভাঘর থেকে না বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করবে।' আর সেই কারণেই সভাঘরের বাইরে তারা বসে রয়েছে। অন্যদিকে মমতা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেই সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানিয়েছেন ২ ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করেছেন।
অন্যদিকে ভিরতে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। তিনি জানিয়ে দেন, বিকেল ৫টা থেকেই আলোচনার জন্য অপেক্ষা করে বসে রয়েছেন। মমতা জানিয়েছেন, তিনটি ভিডিও ক্যামেরা রাখা হয়েছিল। বৈঠক রেকর্ডিং করা হত। ভিডিও রেকর্ডিং-এর ফুটেজও আন্দোলনকারী ডাক্তারদের সঙ্গে শেয়ার করতেন। কিন্তু আলোচনায় রাজি হয়নি ডাক্তাররা।
মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে যেহেতু আরজি কর মামলা চলছে তাই আলোচনায় বৈঠক লাইভ করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বৈঠক লাইভ করা যায় না। কিন্তু রাজ্য সরকার তাই ভিডিও রেকর্ডিংএর ব্যবস্থা করেছিল। মমতা আরও বলেন, কেস কলকাতা পুলিশের হাতে নেই। কেস সুপ্রিম কোর্টের অধীনে। তাই কেস নিয়ে যদি কেউ মন্তব্য করে তাহলে তার দায় কে নেবে। মমতা আরও বলেন, 'আমরা খোলা মনে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম।' কিন্তু আলোচনা হল না। তিনি আরও বলেন আলোচনার পরে যৌথ অথবা একা একা সাংবাদিক বৈঠক করা যেত। মমতা আরও বলেন, তিনি চেয়েছিলেন,'আমার ছোট ছোট ভাইবোনেরা খোলা মনে আলোচনা করবেন। তারা যে ২ ঘণ্টা দেরিতে এসেছে তার জন্যও কোনও পদক্ষেপ নেব না। আমরা ১৫জনকে ডেকেছিলাম। কিন্তু তারা এসেছিল ৩৪ জন। তারপরেও আমরা আটকায়নি। কিন্তু তারপরেও তারা নবান্ন সভাঘরে ঢুকলেনই না। আমি নিয়ে টেলিফোন পর্যন্ত ব্যবহার করি না।' মমতা আরও বলেন, বৈঠকে ফোন আনাও নিষেধ ছিল।
মমতা আরও বলেন, ডাক্তারদের যাতে সমস্যা না হয় তাই জন্য কোনও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদেরও ডাকা হয়নি। জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে ২৭ জন মারা গেছে। ৭ লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছে না। স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।