সংক্ষিপ্ত
তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে নিজের বাড়িতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্যাতিতার পরিবার বলেন, ' উনি একদিন আসুন খোঁজখবর নিয়ে যান।
৯ আগস্ট কর্তব্যরত অবস্থায় আরজি কর মেডিকেল কলেজে (RG Kar Medical College Hospital Case) ধর্ষণ ও খুনের শিকার হন তরুণী চিকিৎসক অভয়া। নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় সঞ্জয় রায় (Sanjay Roy)। কিন্তু শুধুমাত্র সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা চায় না নির্যাতিতার পরিবার (RG Kar Victim)। হাইকোর্টে এই তথা জানানোর পরই নির্যাতিতার পরিবারকে একের পর এক আক্রমণ করছেন শাসক দলের নেতারা। এদিন তারই উত্তর দিলেন নির্যাতিতার পরিবার। তিনি সরাসরি মদন মিত্রকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে নিজের বাড়িতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্যাতিতার পরিবার বলেন, ' উনি একদিন আসুন খোঁজখবর নিয়ে যান। আমার যখন দশ টাকা মূলধন ছিল তখনও টাকা পিছনে দৌড়ায়নি এখনো টাকার পিছনে দৌড়াচ্ছি না আর সেই কারণেই ভগবান আমাদের মতে করে পরিচালনা করার জন্য ওরকম একটা মেয়ে আমাদের ঘরে জন্ম দিয়েছিলেন কিন্তু এই সমাজ আমাদের আমার এই মেয়েটাকে বাঁচতে দেয়নি। তার বিচার আমরা যেখান থেকে পারব নেব। তৃণমূল নেতারা যতই যা বলুন আমাদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন না। '
নির্যাতিতার পরিবার সিবিআই তদন্তকারী দলের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই সিবিআই এর ডিরেক্টরের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন অভয়ার বাবা-মা। এদিন সেই বিষয়টিও তুলে ধরেন। এই বিষয়ে তাঁরা রাজ্যপালের কাছেও নাশিল জানিয়েছেন।
মেয়ের মৃত্যুর পরই টাকার বান্ডিল নিয়ে বাড়িতে তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের তৎকালীন ডিসি নর্থ। আর তাকে বাড়ির দোতলা ঘর পর্যন্ত নিয়ে যান তাদেরই প্রতিবেশী স্থানীয় তৃণমূল নেতা সঞ্জীব মুখার্জি। কিন্তু টাকার বান্ডিল দেখেই ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে অভয়ার বাবা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, 'আপনি যতটা কষ্ট করে আইপিএস হয়েছেন, তার থেকে বেশি কষ্ট করে আমার মেয়েকে খুন হতে হয়েছে। আপনি এই জিনিসটা করবেন না।' নির্যাতিতার বাবার মুখে ওই কথা শুনে আর বেশিক্ষণ দাঁড়াননি ওই পুলিশ অফিসার, এরপরই সিঁড়ি সোজা নিচে নেমে যান। এদিন নির্যাতিতার পরিবার সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরে।
প্রায় পাঁচ মাস পর বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই বিষয়টি তুলে ধরেন অভয়ার বাবা। সেদিনের ঘটনার স্মরণ করতে গিয়ে তিনি বলেন 'স্থানীয় তৃণমূল নেতা সঞ্জীব মুখার্জি কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থকে ডেকে নিয়ে এসে আমাদের ঘরের দোতালায় উঠেছিলেন। আমাদেরকে টাকা দেওয়ার জন্য ডিসি নর্থ'কে ঘরে ডেকে এনেছিলেন। এরপর একটা টাকার প্যাকেট আমাকে দেওয়া হচ্ছিল আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম এটা কি? আমাকে বলা হয়েছিল টাকা আছে, এটা রেখে দিন। আপনার কাজে লাগবে। আমি তখন ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেছিলাম আপনি যতটা কষ্ট করে আইপিএস হয়েছেন তার থেকে বেশি কষ্ট করে আমার মেয়ে খুন হতে হয়েছে। আপনি এই জিনিসটা করবেন না। তারপরেও অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন পরে উনি চলে যান।'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।