সংক্ষিপ্ত

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন মনে করেন রাম নবমীর সময় হিংসার ঘটনার জন্য দায়ী প্ররোচনা।হিংসার ঘটনার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকাও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে ।

 

রাম নবমীর সময় হিংসার ঘটনার তদন্ত নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। শুক্রবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বলেছে, এটা স্পষ্ট যে পশ্চিমবঙ্গে রাম নবমীর সময় যে হামলা হয়েছিল তা পূর্ব পরিকল্পিত। বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্ট রাম নবমীর সময় হাওড়া ও হুগলির হিংসার ঘটনার তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইকে-র হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন মনে করেন রাম নবমীর সময় হিংসার ঘটনার জন্য দায়ী প্ররোচনা। তিনি আরও বলেছেন, এই হিংসার ঘটনার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকাও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে । তিনি একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ পশ্চিমবঙ্গে রাম নবমীর সময় হিংসার বিষয়ে এনআইএ তদন্তের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। এটি স্পষ্ট করে যে এই হামলার ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। কোনও প্রতিক্রিয়া ছিল না। তিনি আরও বলেছেন, 'এটি সন্ত্রাসবাদী হামলার থেকে কোনও অংশে কম নয়।' তিনি আরও বলেছেন একমাত্র এনআইএ তদন্তের মাধ্যমেই প্রকৃত দোষীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করা সম্ভব।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বাংলার পুলিশ দাঙ্গাকারীদের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই হিংসার ঘটনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আশা করে, এনআইএ তদন্তকারীরা হিংসার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের ভূমিকা খতিয়ে দেখবে ও তদন্ত করবে।

রাম নবমীর সময় প্রথম দিনে ধর্মীয় মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিণত হয় হাওড়ার শিবপুর। অস্ত্র হাতে মিছিল করতে দেখা গেছে। মিছিল ঘিরে পরিস্থিতি একটাই অস্বভাবিক হয়ে গিয়েছিল যে এলাকায় শান্তি ফেরাতে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছিল। রাম নবমীর দিন কয়ের পর ধর্মীয় মিছিল ঘিরে উত্তাল হয়ে পড়ে হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। সেখানেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলবিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপির অভিযোগ , পুলিশের সামনেই তাঁদের ওপর পাথর গিয়ে হামলা চালান হয়েছিলয়। হুমলির মিছিলে ছিলেন বিজেপি নেতা। তিনি সেই সময় হামলার তীব্র নিন্দা করেছিলেন। যাইহোক রাম নবমীর মিছিল থেকে পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্যে করে ও প্রতিবেশীদের লক্ষ্যে করে ইটের পাশাপাশি তাৎছিল্য ককরা হয়েছিল। যা নিয়ে এখনও ক্ষোভ প্রকাশ করে থাকে বাংলার পুলিশ বাহিনী। তবে রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করেছে।