সংক্ষিপ্ত
মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তের দাবি জানাচ্ছে তাঁর পরিবার। ইতিধ্যেই এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ইন্দ্রনীল খাঁ।
কালিয়াগঞ্জে কিশোরীকে গণ ধর্ষণ ও খুনের রহস্যের এখনও সমাধান হয়নি। এরই মধ্যে যুবকের মৃত্যু ঘিরে নতুন করে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তের দাবি জানাচ্ছে তাঁর পরিবার। ইতিধ্যেই এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ইন্দ্রনীল খাঁ। এই ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়েরের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আবেদন মঞ্জুরও করছেন ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি। আগামী সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা যাচ্ছে।
পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে তাঁদের আত্মীয় বিষ্ণু বর্মনকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে সেই নিয়েই কথা বলতে মৃত্যুঞ্জয় ও তাঁর ভাই আদালতে যান। সেখানেই তাঁকে পেছন থেকে গুলি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। বৃহস্পতিবার কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার হল যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ। মৃতের নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মন, বয়স ৩৩ বছর। জানা যাচ্ছে মৃত যুবক স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের ভাইপো। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধী দলনেতা। পুলিশের বিরুদ্ধে যুবককে খুনের অভিযোগ আনছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সুরেই সুর মেলালেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীও। তাঁর দাবি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পুলিশ বিজেপি কার্যকর্তাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে ও গ্রেফতার করছে।
এই মর্মে সাত দিনের মধ্যে দিল্লিতে জারি করল জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের অফিসে হাজিরা দিতে হবে উত্তরবঙ্গ পুলিশের আইজি, উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে। শুক্রবার এমনই নোটিস জারি করল জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশন। গোটা ঘটনার ব্যাখা ও বিশদ বিবরণ দিতে হবে কমিশনকে। কিশোরীকে গণ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরই ঘটনাস্থ পরিদর্শন করতে পৌঁছয় জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের আধিকারিকরা। তবে বৃহস্পতিবার জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের উপাধ্যক্ষ অরুণ হালদার জানিয়েছেন পুলশের সহযোগিতা করছে না। জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের উপাধ্যক্ষ অরুণ হালদার জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশ অসহোযোগিতা করছে। জেলাশাসক, এসপি তো দূরের কথা, তদন্তকারী অফিসারও দেখা করছেন না। তাঁর কথায়,'নোটিসে সাড়া দিয়ে না এলে, কমিশনের সমন পাঠানো এবং প্রয়োজনে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ক্ষমতা রয়েছে।'
আরও পড়ুন-
কালিয়াগঞ্জে গুলিকাণ্ডে যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তাল বাংলা, জেলায় জেলায় বিজেপি বনাম তৃণমূলের লড়াই