সংক্ষিপ্ত
সোমবার সন্ধ্যে কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেছিল ছাত্রসমাজ। সেখানে সংগঠনের প্রথম সারির নেতারা হাজির ছিলেন। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি সংক্রান্ত বিষয়ে জানানোর জন্যই ছিল এই বৈঠক।
আরজি কর হসপাতালে চিকিৎসক হত্যা ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ছাত্র সমাজ নামের একটি সংগঠন। বুধবার অভিযান কর্মসূচি। মঙ্গলবারই রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হয় এই কর্মসূচি পুরোপুরি অবৈধ ও বেআইনি। পাশাপাশি নবান্ন অভিযানের নামে কী করে অশান্তির ছক করেছে আন্দোলনকারীরা তাই স্পষ্ট করে দিয়েছে। আগামিকাল বুধবার নেট পরীক্ষা। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের পাশে থাকাও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনঙ্খলা মনোজ ভার্মা ও এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রিতিম সরকার। তাঁরা জানিয়েছেন, ছাত্র সমাজ এই আন্দোলনের ডাক দিলেও এর পিছনে রয়েছে অন্য চক্রান্ত। আরজি কর ইস্যুতে মহিলা ও ছাত্রদের সমানে রেখেই অশান্তির ছক কষছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। অভিযানের সময় পুলিশকে যাতে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় তার জন্যও উস্কানি দেওয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন পুলিশের বড়কর্তারা।
এদিন সকালেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন যে নবান্ন অভিযান ছাত্র সমাজ ডাকলেও এর পিছনে রয়েছে বিজেপি, এবিভিপি, আরএসএস, সিপিএম। দলের পক্ষ থেকে দুটি ভিডিও দেখান হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই এই নবান্ন অভিযান। নবান্ন অভিযান ঘিরে গুলিও চলতে পারে। খুনের ঘটনাও ঘটতে পারে। অনেকটা সেই সুরেই কথা বলে রাজ্য পুলিশ। সুপ্রতিম সরকার বলেন, নবান্ন অভিযানে মহিলা ও ছাত্রদের সামনে রেখে অশান্তির ছক কষা হয়েছে। ছাত্র সমাজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে রাজনৈতিক দলগুলিকে ফলো করা হয়েছে বলেও জানান হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীরে রবিবার রাতেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেন। এই বৈঠকের তথ্য তাদের হাতে রয়েছে। যদিও এই ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানকে প্রথম থেকেই সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি।
এদিন সুপ্রতিম সরকার ছাত্র সমাজ নামে যে সংগঠন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, পুলিশ খোঁজ নিয়ে দেখেছে এমন নামে কোনও সংগঠন নেই। তিনি আরও বলেন, নবান্ন অভিযান করা যায় না। এটা রাজ্যের প্রশাসনিক সদর। এটি কড়া নিরাপত্তা থাকে। পাশাপাশি সংগঠনকে অন্যত্র সভা করতে আহ্বান জানিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।