সংক্ষিপ্ত

প্রথম রাউন্ড নির্বাচন শেষ ৫০৯ ভোটে এগিয়ে ছিলেন বাইরন বিশ্বাস। দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনা শেষে ৪২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ৩৮ শতাংশ ভোট।

চলেছে সাগরদিঘির উপনির্বাচন। প্রথম রাউন্ডের ভোট গণনার পর ফলাফল প্রকাশের পর দ্বিতীয় রাউন্ডে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। ২০৮০ ভোটে এগিয়ে সাগরদিঘির কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। প্রথম রাউন্ডের গণনাতেও এগিয়ে ছিলেন বাইরন বিশ্বাস। প্রথম রাউন্ড নির্বাচন শেষ ৫০৯ ভোটে এগিয়ে ছিলেন বাইরন বিশ্বাস। দ্বিতীয় রাউন্ডের গণনা শেষে ৪২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ৩৮ শতাংশ ভোট।

এদিকে তৃতীয় স্থানে আছে বিজেপি। এই আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। সেবার তৃণমূলের কাছে প্রায় ৫০ হাজার ভোট হেরেছিল তারা। তবে, ভোট শতাংশের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে ছিল পদ্ম শিবির। এবার তৃতীয় স্থানে বিজেপি। তবে কি, রাজ্যে বিজেপি-র বিরোধী শক্তির মুখের তকমায় কি ধাক্কা, সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল দিচ্ছে অসংখ্য ইঙ্গিত। কেন জয়ের দোরগোড়ায় বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী এই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাগরদিঘি কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক সুব্রত সাহা। তিনি ছিলেন মন্ত্রী পদে। কিন্তু, তাঁর মৃত্যুর পর ফের হচ্ছে নির্বাচন। এবার ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেসের হয়ে উপনির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন বাইরন বিশ্বাস। তিনি ধুলিয়ানের বাসিন্দা। বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দিলীপ সাহা। ২০২১ সালে নির্বাচনে সাগরদিঘি বিধানসভায় ভোট দানের হার ছিল ৭৮.৮৭ শতাংশ। এবছর কমে হয়েছে ৭৫.১৮ শতাংশ। বিধানসভা কেন্দ্রে ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৮০ হাজারের কাছাকাছি হিন্দু ভোট রয়েছে। এবছর নির্বাচনে সাগরদিঘি বিধানসবা কেন্দ্রে প্রায় ২৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের অনুপস্থিতি ফলাফলের ওপর প্রভাব ফলতে পারে বলে অনেকের অনুমান।

২০২১ সালে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন সুব্রত সাহা। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএম প্রার্থী ইসমাইল সেনকে ৪,৫৭৮ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। ২০২১ সালে এই কেন্দ্রে দ্বিতীয়স্থানে ছিল বিজেপি প্রার্থী মাফুজা খাতুন। ২০২১ সালে তৃণমূল পেয়েছিল ২১৩টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ৭৭ টি আসন। এবার সেই স্থান থেকে বিজেপি ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, কেন স্থান পেল না বিজেপি তা নিয়ে প্রশ্ন সকলের মনে। অনেকের মতে, এবছর জোট কার্যকরী হয়েছে। সে যাই হোক কেন বিজেপি স্থান পেল না তা নিয়ে সকলের মনে রয়েছে প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত কী ফল হয় তা এখন দেখার।

 

আরও পড়ুন

সাগরদিঘিতে কি প্রত্যাবর্তন কংগ্রেসের? ক্রমেই শাসকদলের সঙ্গে বাড়ছে ব্যবধান

তৃণমূলের অত্যাচার বুঝতে পারছে জনতা- প্রথম রাউন্ডের ভোট গণনার ফলাফল প্রকাশের পর বললেন বাইরন বিশ্বাস

Meghalaya TMC: আশার আলো ঘাসফুল শিবিরে, দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হতে পারে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস