সংক্ষিপ্ত
শেষ পর্যন্ত গড় পুণরুদ্ধারে কি সক্ষম হবে অধীরের দল? আজ উপনির্বাচনের গণনার শুরু থেকেই তেমন সংকেতই মিলছে।
সাগরদিঘিতে কি এবার পরিবর্তন নাকি শেষ মুহূর্তে প্রত্যাবর্তন? দু'দফা গণনার ফল বলছে মুর্শিদাবাদে ফের জোড় বাড়ছে 'হাত'-এর। শেষ পর্যন্ত গড় পুণরুদ্ধারে কি সক্ষম হবে অধীরের দল? আজ উপনির্বাচনের গণনার শুরু থেকেই তেমন সংকেতই মিলছে। প্রথম থেকেই এগিয়ে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। সময় এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ব্যবধান। এমনকী তৃণমূলের জয়ী আসনেও পুননির্বাচনে এগিয়ে কংগ্রেস। এদিন ভোট বাক্স খোলার থেকেই অশনি সংকেত শাসক দলের জন্য। শুরুতেই পোস্টাল ব্যলটের গণনায় প্রায় ৫০০-এরও বেশি ভোটে এগিয়ে যায় কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। এরপর দ্বিতীয় দফার গণনাতেও ১১ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে আপাতত প্রথম স্থানে কংগ্রেস। দু'দফা গণনার পর কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ১১,৪৩৫। তৃণমূল পেয়েছে ৯,৩৫৫ ভোট। অন্যদিকে বিজেপির হাতে মাত্র ৩,০৫৩ ভোট। তৃতীয় রাউন্ডের শেষে ১৯৫৯ ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ১৪,৫৩৭ এবং বিজেপি পেয়েছে ৫০০০। তৃতীয় দফার শেষে খানিকটা কমল ব্যবধান।
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের গো়ড়ার দিকে এই কেন্দ্র কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি ছিল। ১৯৮৭ সাল থেকে সিপিআই(এম) সাগরদিঘি কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পরিবর্তনের হাওয়া মুর্শিদাবের সাগরদিঘিতেই প্রথম লেগেছিল ২০১১ সালে। সেই সময় থেকেই এটি তৃণমূলের খাসতালুক। নির্বাচন কমিশন অবাধ আর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে।
প্রসঙ্গত, গণনা শুরুর আগেই জয়ের ব্যপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও কমতে পারে মার্জিন, জানালেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন,'জয়ী হলেও আমাদের মার্জিন অনেকটাই কমবে। ব্যবধান সর্বোচ্চ হতে পারে ১৫,০০০ মতো। তবে উল্টো সুর শোনা গেল কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের গলায়। তিনি জানিয়েছেন,'এবার তৃণমূলের গড় যে পঞ্চায়েতগুলিতে সেখানে চমকে দেওয়ার মতো ফল হবে। সংখ্যালঘু এলাকায় খুব ভালো ভোট পেয়েছি। জয়ের ব্যবধান কোনও মতেই ২০,০০০-এর কম হবে না। বিধানসভায় খাতা খুলতে চলেছি আমরা। উপনির্বাচনে এবার অধীর এবং সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে এক মঞ্চে দেখা না গেলেও স্থানীয় স্তরে যে এবার বাম-কংগ্রেস বোঝাপড়া এবার অনেক বেশি পোক্ত তা দাবি করেছে দুই শিবিরই। জয়ের জন্য কংগ্রেস প্রার্থীর প্রয়োজন ন্যূনতম ৫০ হাজার ভোট। গত নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৬ হাজার। বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে এবার সংখ্যাটা ছাড়াতে পারে ৬০ হাজারের গণ্ডি। বিজেপির ভোট শতাংশে খুব বেশি হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
২০২১ সালে সালের নির্বাচনে সাগরদিঘি বিধানসভায় ভোট দানের হার ছিল ৭৮.৮৭ শতাংশ। এবছর তা কমে হয়েছে ৭৫.১৮ শতাংশ।বিধানসভা কেন্দ্রের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৮০ হাজারের কাছাকাছি হিন্দু ভোট রয়েছে। এবারের নির্বাচনে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় ২৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের অনুপস্থিতি ফলাফলের উপর অনেকটাই প্রভাব ফেলবে বলে রাজনৈতিক দলগুলির দাবি।
আরও পড়ুন -
প্রথম রাউন্ডের গণনা শেষ সাগরদিঘিতে, শুরুতেই ৫২৭ ভোটে এগিয়ে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী
তৃণমূলের অত্যাচার বুঝতে পারছে জনতা- প্রথম রাউন্ডের ভোট গণনার ফলাফল প্রকাশের পর বললেন বাইরন বিশ্বাস