সংক্ষিপ্ত
সন্দেশখালি আবারও উত্তপ্ত। শনিবার সেখানে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। অন্য্ দিকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ সিপিএম নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের।
উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে আবারও দেখা গেল দুই ছবি। একদিনে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু ও পার্থ ভৌমিক যখন অবাধে সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছে সেখানে সিপিআই(এম) নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি যান দাপুটে বাম নেত্রী। প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভও করে। গ্রামে ঢুকতে না পেরে মিনাক্ষী বাধ্য হয়ে বসিরহাট থানায় যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সন্দেশখালিতে পার্থ-সুজিতঃ
শনিবার সন্দেশখালি গিয়েছিলেন রাজ্যের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাত। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এলাকা পরিদর্শনও করেন। কথা বলেন স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে। সেখানেই পার্থ ভৌমিক জানিয়ে দেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিনকে আগেই তৃণমূলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কত আগে তাঁকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তা তিনি জানাননি। এলাকায় অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ছিল। যদিও দুই মন্ত্রীর একজনও ফেরার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে নিয়ে মুখ খোলেননি। পরিস্থিতি ঠিক আছে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
ঢুকতে বাধা মিনাক্ষীকেঃ
তৃণমূলের দুই মন্ত্রী সন্দেশখালির বিভিন্ন গ্রামে সফর করলেও বাম নেত্রী মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে বাধা দেয় পুলিশ। তেমনই দাবি বাম নেত্রীর। পুলিশের বাধার তীব্র প্রতিবাদ জানান মিনাক্ষী। তিনি অবস্থান বিক্ষোভও করেন। মিনাক্ষী বলেন, তাঁকে কী কারণে আটকানো হয়েছে তা বলতে পারেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ পুলিশের পোশাকে সেখানে ছিল তৃণমূলের ক্যাডার। কারণ তিনি অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্টরা মুখ ঢেকে রয়েছে। তাদের নখ বড় বড়। যাইহোক গ্রামে ঢুকতে বাধা পেয়ে মিনাক্ষী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। তাঁকে অবৈধভাবে আটকানো হচ্ছে। অবশেষে বসিরহাট পুলিশ সুপারের অফিসের দিকেই যান। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী সন্দেশখালি সফররত পার্থ ভৌমিক বলেন, মিনাক্ষীকে আটকানো হয়নি। বাম নেত্রীর সঙ্গে প্রায় ৫০ জনকে নিয়ে ঘুরছেন। তিনি টোটো চড়ে একাধিক জায়গায় গেছেন।