সংক্ষিপ্ত
কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। পর্যদের অফিসে আবারিত দার সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। সকাল থেকেই জেরা ইডির।
স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নয়া মোড়। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের কাছে আসত কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। রিমান্ড লেটারে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। যার বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে রয়েছে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
রিমান্ড লেটারে দাবি করা হয়েছেঃ
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল কালীঘাটের কাকুর। তেমনই দাবি করছে ইডির একটি সূত্র । ইডি সূত্রে খবর , ২০২২ সালে তাপস মণ্ডল বলেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের দফতের ভিতরেই কালীঘাটের কাকুর অবাধ যাতায়াত ছিল। সেখানে তিনি খাওয়াদাওয়া করতেন। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে গোপন বৈঠকও করতেন। তাপস মণ্ডলের এই বয়ানকেই হাতিয়ার করে ইডি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলেও সূত্রের খবর। ইডি সূত্রের খবর তাদের কাছে খবর রয়েছে মানিক মণ্ডলের সঙ্গে বৈআইনি চাকরি নিয়ে বৈঠক করার জন্যই কালীঘাটের কাকু যেতেন সেখানে। ৩২৫ জনেকে চাকরি বিক্রি করে টাকা তোলা হয়েছিল। সেই বেআইনি চাকরি প্রার্থীদের তালিকা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন পর্যদের অফিসে। তাদের তেকে কোটি কোটি টাকা তোলা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। ইডির অনুমান চাকরি বিক্রির ব্লুপ্রিন্টও তারা তৈরি করতেন।
যাইহোক এদিন মানিক ও সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের হোয়াটস অ্যাস চ্যাট দেখিয়েই প্রশ্ন করা হবে।
সকাল থেকেই জেরা কালীঘাটের কাকুকেঃ
ইডি দফতের কালীঘাটের কাকুকে জেরা করা হচ্ছে। গতকাল রাতে জেরা করা হয়নি। আজ সকাল থেকেই সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরা করা হচ্ছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
নীরব কালীঘাটের কাকুঃ
ইডির হাতে মাত্র ১৪ দিন সময় রয়েছে কালীঘাটের কাকুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তারই মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন ইডি করতে চায় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। তবে সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন কালীঘাটের কাকু। অধিকাংশ সময়ই তিনি নীরব থাকছেন। তহে এরই মধ্যে ইডি সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় ও রাহুল বেরার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চাইছে। একজন পার্থ ঘনিষ্ট বলে অভিযোগ। অন্যজন সিভিক ভলান্টিয়ার, যিনি ২৫ কোটি টাকা হেরাফেরির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। সব প্রশ্নের উত্তর পেতে মরিয়া তদন্তকারীরা।