সংক্ষিপ্ত
জুনিয়র ডাক্তাররা যদি পূর্ণ কর্মবিরতি না তুলতে চান তাহলে তারা যেন আংশিক কর্মবিরতিতে যান- সেই পরামর্শও দিয়েছেন অনেক প্রবীণ চিকিৎসক
কোন পথে চলবে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন? তাই নিয়েই দীর্ঘ আলোচনা সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে। আরজি কর হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে দীর্ঘ বৈঠক হয়। সেখনেই সিনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে আর না যাওয়ার কথা বলেন। সিনিয়র ডাক্তারদের কথায় কর্মবিরতি তুলে নিয়ে যদি অন্য কোনও ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া যায়, সেই বিষয়টি বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেবেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
জুনিয়র ডাক্তাররা যদি পূর্ণ কর্মবিরতি না তুলতে চান তাহলে তারা যেন আংশিক কর্মবিরতিতে যান- সেই পরামর্শও দিয়েছেন অনেক প্রবীণ চিকিৎসক। রোগীস্বার্থের কথা বিবেচনা করে যাতে জুনিয়র ডাক্তারেরা কর্মবিরতি কিছুটা শিথিল করেন, সেই প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা। সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে জুনিয়র ডাক্তারদের ছাড়া পরিষেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। পুজোর মধ্যে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই কর্মবিরতি ছাড়া আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রাজ্যের একাধিক প্রান্তে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুজোর মরসুম চলছে। এই পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কথাও জুনিয়র ডাক্তারদের জানান সিনিয়রেরা। সে ক্ষেত্রে প্রস্তাব, জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে যোগ দিয়ে আন্দোলনকে অন্য কোনও উপায়ে এগিয়ে নিয়ে যান। তবে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যে তাঁরা পাশে রয়েছেন, সেই বার্তাও দিয়েছেন সিনিয়রেরা। সিনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, 'আন্দোলন কখনই বন্ধ হবে না। বিচার আমরাও চাই। যতদিন পর্যন্ত না বিচার পাওয়া যাচ্ছে ততদিন যে কোনও উপায়া আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে।' তবে প্রকৃত সিদ্ধান্ত নেবে জুনিয়র ডাক্তাররা। সেকথাও জানিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।