সংক্ষিপ্ত

কিশোরী ওই শিক্ষকের স্কুলেই সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার বাড়ি বনগাঁ স্টেশনের কাছেই। ওই শিক্ষকের বাড়িও বনগাঁ শহরে। তবে এই ঘটনা নিয়ে ওই স্কুলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

স্কুলেও সুরক্ষিত নয় পড়ুয়ারা! বনগাঁ স্কুলের ঘটনা তেমনই নিরাপত্তাহীনতার কথা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে। জানা গিয়েছে স্কুলের মধ্যেই নাকি সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন সেই স্কুলেরই শিক্ষক। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বনগাঁ শহরের একটি স্কুলের ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের ভিতরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন ওই শিক্ষক। বুধবার ওই শিক্ষককে বনগাঁ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

কিশোরী ওই শিক্ষকের স্কুলেই সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার বাড়ি বনগাঁ স্টেশনের কাছেই। ওই শিক্ষকের বাড়িও বনগাঁ শহরে। তবে এই ঘটনা নিয়ে ওই স্কুলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কিছু বলতে চাননি প্রধানশিক্ষকও।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর পরিবার মঙ্গলবার রাতেই বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেখানে বলা হয়, ওই শিক্ষক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন। তবে পরিবার যে দাবি করছে, স্কুলের মধ্যেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে যদিও পুলিশ কোনও মন্তব্য করেনি।

দক্ষিণ ২৪ পরগণাতেও একই রকম ঘটনা ঘটেছিল মাস কয়েক আগে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলের বাথরুমের মধ্যে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয় ঘটনার পর নির্যাতিতা যাতে বাইরে না বের হতে পারে তারজন্য বাথরুমে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত শিক্ষক। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ঢোলাহাট থানা এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফয়জুদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে হয়। ধৄতকে কাকদ্বীপ আদালতে পেশ করা হলে তাকে ৭দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক।

বাথরুমে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করে ওই শিক্ষক এমনটা অভিযোগ। এমনকী বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্কুলের এক ছাত্রীর মুখে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নির্যাতিতা ছাত্রীর মা। তিনি অন্যদের সহায়তায় তালা ভেঙে বাথরুম থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেন।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।