সংক্ষিপ্ত
যে কটি ট্রেন আজ চলছে তাঁর বেশিরভাগই ২০ থেকে ২৫ মিনিট দেরিতে চলছে। ফলে সঠিক সময় গন্তব্যে না পৌঁছতে পেরে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককেই।
সপ্তাহান্তে ভোগান্তি। শনিবার শিয়ালদহ মেইন লাইনে বাতিল একাধিক ট্রেন। যার জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নিত্য যাত্রীদের। নৈহাটি এবং কল্যাণী স্টেশনের মধ্যে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়। যদিও এই ট্রেন বাতিলের কথা রেলের পক্ষ থেকে আগেই জানানোহয়েছিল। এই কাজের জন্য অধিকাংশ ট্রেন দেরিতে চলায় গন্তব্যে পৌঁছতে সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। শুক্রবার রাত থেকেই বিপাকে পড়েন বহু নিত্যযাত্রী। শনিবার সকালেও সেই ছবি বদলালো না। অধিকাংশ ট্রেনই দেরিতে চলায় দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। যে কটি ট্রেন আজ চলছে তাঁর বেশিরভাগই ২০ থেকে ২৫ মিনিট দেরিতে চলছে। ফলে সঠিক সময় গন্তব্যে না পৌঁছতে পেরে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককেই।
লোকাল ট্রেনের এই অনিয়মের জেরে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। তাঁদের অভিযোগ ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছে। একাধিক ট্রেন বাতিল হওয়ার ভিড় বেশি হচ্ছে ট্রেনগুলিতে। ফলত যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। সঠিক সময় অফিস পৌঁছতে পারেননি। পাশাপাশি তাঁদের আরও অভিযোগ 'এসব তো আর অফিস শুনবে না।' অন্যদিকে রেলের পক্ষ থেকে যাত্রী দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জানানো হয়েছে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের মাঝের সময়টা বেছে নিয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে আজ শনিবার থেকে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধের ডাক দিল আদিবাসীদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা। অভিযোগ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে আদিবাসীদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনার বিরোধিতায় ১১ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের বনধের ডাক দিল তাঁরা। গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় 'আদিবাসীদের অপমান' করেছেন বলে দাবি তোলেন তাঁরা। যতক্ষণ না শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আদিবাসী সমাজের কাছে ক্ষমা চাইবেন ততক্ষণ ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভের জেরে শনিবার সকাল থেকেই ঝাড়গ্রাম জেলায় বন্ধ দোকানপাট ও যান চলাচল। অবরুদ্ধ একাধিক রাস্তা। সপ্তাহান্তে থমথমে ঝাড়গ্রাম। 'আদিবাসীদের অপমান'-এর বিরোধিতায় অনির্দিষ্টকালের বনধ জেলা জুড়ে। শনিবার সকাল থেকেই এই বনধের প্রভাব দেখা যাচ্ছে ঝাড়গ্রামে। সকাল থেকেই বন্ধ বেশিরভাগ দোকান। বন্ধ বেসরকারি বাস পরিষেবাও। আদিবাসীদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানার ডাকা এই বনধে অবরোধ করা হয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। অবরোধ করা হয়েছে জাতীয় সরক। অবরোধের জেরে যে অল্প সংখ্যক সরকারি বাস বেরিয়েছিল সেগুলিও আটকে পড়েছে। ফলত কার্যত বিছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা জেলা। বন্ধ বেশিরভাগ পরিষেবাই। উল্লেখ্য জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন -
সরকারি দফতরের কাজে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি, অনুপস্থিত ধর্মঘটীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন?