সংক্ষিপ্ত
শুক্রবারের ধর্মঘটের প্রায় কোনও প্রভাবই পড়েনি সরকারি দফতরের কাজকরররমে। হাজিরার হারও প্রায় ৯০ শতাংশ।
ডিএ-এর দাবিতে ধর্মঘটকে কেন্দ্র জরে উত্তাল রাজ্যরাজনীতি। এদিন রাজ্যের কোনও সরকারি দফতরে কোনও কাজ হবে না বলেই জানিয়েছিল সরকারি কর্মীদের একাধিক সংগঠন। তবে ধর্মঘট শেষে দেখা গেল শুক্রবারের ধর্মঘটের প্রায় কোনও প্রভাবই পড়েনি সরকারি দফতরের কাজকরররমে। হাজিরার হারও প্রায় ৯০ শতাংশ। এই মর্মে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়। তবে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে যারা কাজে আসেননি তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। আন্দোলন রুখতে প্রথম থেকেই কড়া রাজ্য সরকার। সকাল ১১ টার মধ্যেই হাজিরা রিপোর্ট পাঠাতে হবে। হাজিরা খতিয়ে দেখবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই এই নির্দেশ পৌঁছে যায় বিভিন্ন দফতরের সচিবদের কাছে। আন্দোলন উপেক্ষা করে কতজন হাজিরা দিল সে নথি শুক্রবার দেখবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কর্মীদের উপস্থিতির হার পাঠাতে হব নির্দিষ্ট ফরম্যাটের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই এই ফরম্যাট পৌঁছে গিয়েছে দফতরে দফতরে। সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই উপস্থিতির হার জানা যাবে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন দফতর।
উল্লেখ্য শুক্রবার সকাল থেকে ধর্মঘটের প্রভাব দেখা গিয়েছিল রাজ্যে। শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় দেখা গিয়েছে ধর্মঘটের প্রভাব। একাধিক সরকারি অফিসে কর্মচারিদের একাংশ কাজ বন্ধ করে ব্যানার পোস্টার হাতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। মহাকরণের বাইরেও বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে স্লোগান, ধরনা, অবস্থান করেন বিক্ষুব্ধ সরকারি কর্মী। এছাড়াও ধর্মঘটের জের দেখা দিয়েছে সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুল, কলেজগুলিতেও। যোগমায়া দেবী কলেজে সকাল থেকেই ক্লাস বন্ধ। পড়ুয়াদের সূত্রে খবর অধ্যাপকরা এলেও ক্লাস হবে না বলে জানানো হয়েছে। পঠনপাঠন বন্ধ সরকারি প্রাথমিক স্কুলেও শিক্ষকরা। তবে ছবিটা পালটে যায় সরকারি দফতরগুলির ক্ষেত্রে। ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলেও নবান্নে উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি। শুক্রবার সকালে আবার হাজিরার রিপোর্ট তলব করা হয় নবান্নর পক্ষ থেকে। সকাল ১১ টার মধ্যেই হাজিরা রিপোর্ট পাঠাতে হবে। হাজিরা খতিয়ে দেখবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই এই নির্দেশ পৌঁছে যায় বিভিন্ন দফতরের সচিবদের কাছে। আন্দোলন উপেক্ষা করে কতজন হাজিরা দিল সে নথি শুক্রবার দেখবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কর্মীদের উপস্থিতির হার পাঠাতে হব নির্দিষ্ট ফরম্যাটের মাধ্যমে।
অন্যদিকে অশান্তি এড়াতে কড়া পদক্ষেপ নবান্নেও। ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলেও নবান্নে উপস্থিতির হার ছিল প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি। নবান্নে আজ আইডি কার্ড ছাড়া কোনও সরকারি কর্মীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। নবান্নে ঢোকার আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের দেখাতে হচ্ছে নিজের পরিচয়পত্র। তবে আজ অন্যান্য দফতরের কোনও সরকারি কর্মী আপাতত নবান্নে ঢুকবেন না। শুধুমাত্র নবান্নে যাঁরা কর্মরত রয়েছেন। তাঁদেরই আজ প্রবেশের অনুমতি রয়েছে।
আরও পড়ুন -
পরিচয়পত্র ছাড়া মিলবে না প্রবেশাধিকার, নবান্নে ঢুকতে আজ মানতে হচ্ছে কী কী নিয়ম?
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে SFI এর মিছিল,স্পিকারকে স্মারকলিপি দিতে বিধানসভার গেটে আন্দোলনকারীরা
বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট, কলকাতা-সহ অন্যান্য জেলায় কতটা প্রভাব?