সংক্ষিপ্ত

মালদার চাঁচোল হাসপাতালের বাইরে জলের তীব্র সংকট। সমস্যায় পড়তে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের। যারা ডাক্তার দেখাতে আসে তাদের জন্য জলের তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই।

 

হাসপাতালে দ্রুত পানীয় জলের সংকট দূর করা হবে এই আশ্বাসের বাণী শুনিয়ে গিয়েছিলেন খোদ জেলা শাসক। কিন্তু সেই আশ্বাস বান দেওয়ার পর কেটে গিয়েছে চার মাস। সমস্যার বিন্দু মাত্র সমাধান হয়নি। এখনও মালদহের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বাইরে পানীয় জলের হাহাকার। রোগীর পরিজনদের টাকা দিয়ে পানীয় জল ক্রয় করে পান করতে হচ্ছে। আর এতেই ক্ষোভে ফুঁসছে ওই হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজনেরা। দ্রুত হাসপাতালের বহির্বিভাগে দ্রুত চালু হোক পানীয় জল পরিষেবা, এই দাবি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে রোগীর পরিজনদের।

চাঁচল মহকুমার ছয়টি ব্লকের স্বাস্থ্য পরিষেবার একমাত্র ভরসা মালদহের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। নীল সাদা ভবনে স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ রয়েছে রোগীর পরিজনদের। বর্তমানে হাসপাতাল চত্বরে তৈরি হয়েছে পানীয় জলের সংকট। হাসপাতালে এসে জল সমস্যায় জর্জরিত রোগী সহ রোগীর পরিজনেরা।

হাসপাতালের বাইরে জলের কল বা নলকূপ নেই। রোগী পরিজনদের সমস্যা দেখে চাঁচলের তৎকালীন বিধায়ক আসিফ মেহবুবের কোটা থেকে পরিস্রুত পানীয় জলের সাব মার্সালের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।কিছুদিন সেটি চলার পর বিকল হয়ে পড়ে।তারপরে আর সেটি মেরামত হয়নি বলে অভিযোগ। হাসপাতালের বাইরে এক ফোঁটা জলের খোঁজে হাহাকার হতে দেখা যাচ্ছে রোগী পরিজনদের।বাধ্য হয়ে জলের বোতল কিনতে হয় তাদের।রাতেও বেলা দোকান না থাকলে দুর্ভোগে মুখে পড়ে রোগীর পরিজনরা। জল সমস্যা একদিনের নয়। কয়েকবছরের এই জল যন্ত্রণা আজও বহাল রয়েছে।

গত চার মাস আগে মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া হাসপাতালের পরিকাঠামো দেখতে আসে। বিকল সাবমার্সালটি স্থানীয় প্রশাসনকে মেরামতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে গ্রীষ্ম বর্ষা কেটে আসছে শীতকাল।তবুও পানীয় জলের সুব্যবস্থা হল না হাসপাতালের বাইরে।যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে রোগীর পরিজন থেকে শুরু করে চাঁচলবাসী। হাসপাতালে আসা এক রোগীর পরিজন নজরুল ইসলাম বলেন, হাসপতালের পানীয় জলের কোন ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে গাটের করি খরচ করে জল পান করতে হচ্ছে। মালদা গেট জেলা শাসক নিতিন সিংহানিয়া আশ্বাসবাণী দিয়েছিলেন দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে কিন্তু আজও তা বাস্তবে রূপ পেল না। আমরা চাই দ্রুত পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়া হোক।

মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন বলেন, ব্লক প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হাসপাতাল চত্বরে পানীয় জলাধার টি মেরামত করে সেখানে পানীয় জলের পরিষেবা করতে কিন্তু এখনো কেন হয়নি বুঝে উঠতে পারছিনা। বিষয়টি আমরা দেখছি। 

ডিম-পাঁউরুটি খাওয়ও কি বিলাসিতা হয়ে যাবে? ডিমের দাম বাড়ায় প্রশ্ন আম জনতার

গুজরাটের মোরবি সেতু দুর্ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা তাপস রায়ের, টালা ব্রিজের উদাহরণ দিলেন তৃণমূল নেতা

ধর্ষিতার 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' নিষিদ্ধ, ধর্ষণ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের