সংক্ষিপ্ত

গুজরাটের মোরবি ব্রিজ দুর্ঘটনায় বিজেপিকে টার্গেট করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাপস রায়। তিনি বললেন বিজেপির কাছে মানুষের নিরাপত্তা বড় নয়।

'বিজেপির কাছে মানুষের নিরাপত্তা বড় প্রশ্ন নয়। ওদের কাছে বড় হচ্ছে নির্বাচন।' গুজরাটের মোরবি ব্রিজ নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেলন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তাপস রায়। তিনি অভিযোগ করেন,ভালো করে স্বাস্থ পরীক্ষা না করে, কতটা লোর্ড নিতে পারবে না দেখে, বিশেষজ্ঞ দের সাথে পরামর্শ না করে, শুধুমাত্র ভোটের কথা মাথায় রেখে, হাত তালি কুড়াবার জন্যে, সাত তাড়াতাড়ি তড়িঘড়ি করে ব্রিজটা খুলে দিলো। গুজরাট ব্রিজ দুঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন তাপস রায়।

কথা প্রসঙ্গে তাপস রায় টালা ব্রিজের উদাহরণ তুলে আনেন। তিনি বলেন, 'আমরা মহালয়ে ব্রিজ উদ্ধোধন করেছিলাম। কিন্তু তারপর ধীরে ধীরে পদক্ষেপ করা হয়েছে। আস্তে আস্তে বেশ কিছু দিন ধরে পরীক্ষা করে, তারপরে অনেক দিন পরে নির্দিষ্ট ওজনের গাড়ির জন্যে ব্রিজের রাস্তা খুলে দেই।'গুজরাট ব্রিজের ক্ষেত্রে কেন এমন করা হয়নি বা নিয়ম মানা হয়নি তা রাজ্যের সরকার এবং কেন্দ্রের সরকারের তদন্ত করে দেখা উচিত বলেও দাবি করেন তাপস রায়।

রবিবার গুজরাটের মোরবিতে মাচ্ছু নদীর ওপর শতাব্দী প্রাচীন ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ায় কমপক্ষে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ আমলের এই সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ছিল। মেরামতি আর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। গত ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষ উপলক্ষ্যে সেতুটি জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেতুটির দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। অভিযোগ নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। মোরবি মিউনিসিপ্যাল বড ও অজন্তা ম্যানুফ্যাকটারিং প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী সেতুটি কমপক্ষে ৮-১২ মাস বন্ধ রাখার কথা হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। তেমনই অভিযোগ করছে মরবি পৌরসভা।

রবিবার সন্ধ্যে ৬টা ৩০ মিনিটে সেতুটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। সেই সময় সেতুর ওপর প্রায় ৫০০ লোক ছিল। অত্যাতাধিক ভিড়ের চাপ সেতুটি সহ্য করতে পারেনি। তাতেই ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ঝুলন্ত সেতুর তার ছিঁড়ে যায়। তারপরই সেতুটি ভেঙে পড়ে। সেই সময় সেতুর ওপর প্রচুর শিশু ও মহিলা ছিল। বিকট শব্দ করেই সেতুটি ভেঙে পড়ে জলের ওপর। অনেকেই মানুষই নদীতে ডুবে যায়। প্রথম দফায় সাত আট জনকে তিনি উদ্ধার করেছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন পর্যটক হিসেবেই তিনি সেতু দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনার পর মানুষের আর্তনাদ দেখে তিনি জলে ঝাঁপ দিয়ে কয়েক জনকে উদ্ধার করেন। অন্য একজন জানিয়েছেন সেতুর ওপর প্রবল ভিড় ছিল। অনেকে আবার সেতুর কেবল ধরে টানাটানি করছিল। তাতেই তারগুলি ছিঁড়ে যায়। গুজরাটের পঞ্চায়েত মন্ত্রী ব্রিদেশ মের্জা বলেছেন, উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। আহতদের হাতপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

 

শত্রুঘন সিনহা, কাঞ্চন মল্লিক এবং দেব কে নিরুদেশ বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এইটা বিজেপির চক্রান্ত। ঐ নির্দিষ্ঠ দলের কাজ এই গুলো। ওনাদেরও অনেকের খোঁজ নেই। তবে সবার উচিত তাদের ভোটারদের জন্যে কাজ করা। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই ব্যাপারে ভীষণ সচেতন, কাজেই এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

ধর্ষিতার 'টু ফিঙ্গার টেস্ট' নিষিদ্ধ, ধর্ষণ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের

মোরবি সেতু দুর্ঘটনার পরই কাঠগড়ায় বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থা, উঠে আসতে দুর্ঘটনার পাঁচকাহন

গণতন্ত্রকে রক্ষার আবেদন মমতার , মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ে ক্ষোভ আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে