সংক্ষিপ্ত
একদিকে আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। তার মধ্যে মালদার হরিশচন্দ্রপুরে একটি সরকারি অফিস এবার মধুচক্রের হদিশ মিলল। সেই সরকারি দফতরের ঘরের মধ্যেই চলছিল অশালীন কাজকর্ম এবং মদ-বিরিয়ানির ফোয়ারা।
একদিকে আর জি কর কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। তার মধ্যে মালদার হরিশচন্দ্রপুরে একটি সরকারি অফিস এবার মধুচক্রের হদিশ মিলল। সেই সরকারি দফতরের ঘরের মধ্যেই চলছিল অশালীন কাজকর্ম এবং মদ-বিরিয়ানির ফোয়ারা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ভূমি সংস্কার দফতরের কার্যালয়টি গ্রামের একপ্রান্তে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়েই প্রতি শনিবার এবং রবিবার সন্ধ্যে নামলেই অফিস চত্বরের মধ্যে থাকা হাইমাস্ট ল্যাম্পের আলো বন্ধ করে দিতেন নাইট গার্ড।
এরপরই বাইরে থেকে যুগলরা নিরাপত্তারক্ষীর মদতে সেই দফতরের ভিতর প্রবেশ করতেন। তারপর চলতো অশালীন কাজকর্ম। রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হঠাৎ করে দফতরের সামনের লাইট বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই গ্রামের কিছু ছেলে লক্ষ্য করে যে, বাইরে থেকে এক যুবক এবং যুবতী ভিতরে ঢুকল।
গ্রামবাসী ছুটে গিয়ে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এরপর গ্রামবাসীরা চিৎকার চেঁচামেচি করলেই আরও লোক জড়ো হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
উত্তেজিত গ্রামবাসীদের সঙ্গে সেখানে বচসায় জড়িয়ে পড়েন পুলিশকর্মীরা। এরপর উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে কোনওরকমে অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী এবং সেই যুবক-যুবতীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর পুলিশ।
প্রসঙ্গত, আর জি কর ইস্যুর মাঝে সরকারি অফিসে রক্ষকের দ্বারা মধুচক্রের আসর সামনে চলে আসায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা প্রশাসন। ভূমি সংস্কার আধিকারিক, রেভিনিউ অফিসার দেবরাজ মুখোপাধ্যায় জানান, “কী ঘটেছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে, সরকারি অফিসে মধুচক্র কীভাবে সম্ভব? তাই মালদার হরিশচন্দ্রপুরে সরকারি অফিসে মধুচক্রের ঘটনা সামনে চলে আসায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।