সংক্ষিপ্ত
কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি। এছাড়াই একাধিক দাবিতে এসএফআই-এর কর্মসূচি। মিছিল আটকাল পুলিশ।
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনের দাবিতে সরব সিপিআই(এম)র ছাত্র সংগঠন এসএফআই। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিল। তবে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীর মধ্যে আটকে রাখা যায়নি এসএফআই-এর মিছিল। বিধানসভার প্রবল নিরাপত্তার বলয় ভেঙে বেশ কয়েক জন মিছিলকারী বিধানসভার গেটে উঠে পড়ে। তারপরই পুলিশের ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আনা হয় পুলিশ বাহিনী।
অন্যদিকে একই অবস্থা শিয়াদহ স্টেশনে। সেখানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ আটকে রাখতে পারেনি বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের। এসএফআই-এর রাজ্য কমিটির সদস্য শুভজিৎ সরকার বলেছেন, এসএফআই সদস্যরা বউবাজার ক্রিসিং-এর কাছে মূল সমাবেশে দলে দলে যোগ দিয়েছেন। তবে পুলিশ মিছিলকারীদে যেতে বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। অপর নেতা আনন্দরূপ ধর অভিযোগ করেছেন, ট্রেন থেকে নেমে মিছিলে যোগ দেওয়ার সময়ই পুলিশ তাদের অনেক কর্মী সংগঠক ও সদস্যদের আটকে দিয়েছিল। কয়েকজন প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনিয়।
এসএফআই নেতা কর্মীদের বক্তব্য পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল আটকে দিয়েছে। আনন্দরূপ ধর বলেন, কেন্দ্রের মোদী সরকারের নতুন শিক্ষানীতি ২০২০ এর বিরোধিতা করছেন তারা। এই রাজ্যে এই শিক্ষানীতি চালুতে সাহায্য করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারই বিরোধিতা করছেন। শিক্ষাব্যবস্থাকে কেন্দ্র ও রাজ্য বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে। তাতে ক্ষতি হচ্ছে দেশের পিছিয়ে পড়া ও গরীব মানুষদের। সেই কারণেই অধিকার আদায় করতেই পথে নেমেছেন তাঁরা। তাদের আরও অভিযোগ এই রাজ্য কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন প্রায় ৬ বছর ধরে হয়নি। আটকে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনও। ছাত্র ভোট করানোর দাবিতেই বিধানসভার স্পিকারের হাতে স্মারকলিপি তুলে দিতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানেও তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে এদিন,ছাত্র আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য হাওড়া স্টেশনেও জড়ো হয়েছিল এসএফআই-এর সদস্যরা। কিন্তু পরিস্থিতি যাতে অগ্নিগর্ভ হয়ে না যায় তারজন্য আগে থেকেই মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ বাহিনী। মিছিল করে হাওড়া ব্রিজে ওঠার আগেই পুলিশ তাদের আটকে দেয়। আটক করা হয়েছে ২২ জনকে।
মিছিল করা যাবে না- আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু পুলিশের সেই নিষেধাজ্ঢাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে এসএফআই হাওড়া-শিয়ালদহ থেকে মিছিল শুরু করেছিল। কিন্তু শহরের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দুটি জায়গাতেই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। যদিও এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অনুমতি না মিললেও মিছিল হবেই।