সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের বোলপুরে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। সেখানেই তিনি নরেন্দ্র মোদীকে হুঁশিয়ারি দেন।

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আবারও রাম মন্দির নিয়ে সতর্ক করলেন পুরীর শঙ্করাচার্য। অযোধ্যা রাম মন্দির উদ্বোধনের সময় থেকেই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিবাদ বেধেছিল শঙ্করাচার্য গোষ্ঠীদের। তবে সেসব এখন অতীত। অযোধ্যা রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানেও কোনও শঙ্করাচার্যই উপস্থিত ছিলেন না। সেই সময় সবথেকে বেশি সরব হয়েছিলেন যোশীমঠের শঙ্করাচার্য। কিন্তু এবার নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সরব হলেন পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতীর।

এই রাজ্যের বোলপুরে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। সেখানেই তিনি নরেন্দ্র মোদীকে হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উচিৎ হয়নি অযোধ্য়া রাম মন্দির উদ্বোধন করা। সেই কারণেই অযোধ্য়ার মানুষ তাঁকে উচিৎ জবাব দিয়েছে।' তিনি রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'যারা আমাদের সঙ্গে টক্কর নিয়েছে তারা শেষ হয়ে গিয়েছে।' পুরীর শঙ্করাচার্য হারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন। পুরীর শঙ্করাচার্য তিন দিনের অনুষ্ঠানে এই রাজ্যে এসেছেন। বোলপুরের ভক্তদের অনুষ্ঠানে একটি বক্তৃতা করেছেন। সেখানেই দীক্ষা, পুজোও করেন।

বোলপুরেই শঙ্করাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণ হলও রাজনেতা হওয়ার কারণে রাম মন্দির উদ্বোধ করা তাঁর ঠিক হত না। তিনি আরও বলেন, লৌকিক আচার না মানলে গণতন্ত্র থাকে না। তিনি আরও বলেন, এই অধর্মীয় কাজের উচিৎ জবাব দিয়েছে অযোধ্যাবাসীয । তিনি আরও বলেন, 'মোদীজি কংগ্রেসকে দুর্বল মনে করতেন এই নির্বাচনের আগে। এখন আর মনে করবেন না। এই পশ্চিমবঙ্গে জ্যোতি বসু আমার সঙ্গে টক্র নিয়েছিলেন। শেষ হয়ে গিয়েছিলেন। লালু আর মুলায়ম সিং যাদবও আমাদের সঙ্গে টক্কর নিয়েছিলেন, তারাও শেষ হয়ে গিয়েছেন। মোদীজির উচিৎ আমার সঙ্গে টক্কর না নেওয়া। '