সংক্ষিপ্ত

সূত্রের খবর, দিনমজুরদের মজুরি দেওয়ার নাম করে একটি বিশেষ ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট খুলেছিলেন শান্তনু। সেখানে চেকবইতে দিনমজুরদের দিয়ে সই করিয়ে নিতেন তিনি। 

নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হুগলী জেলার প্রাক্তন তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দুর্নীতি সম্পর্কে তদন্ত করে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আদালতে এই মামলায় বিস্ফোরক অভিযোগ করল ইডি। চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে বিপুল অঙ্কের লেনদেন করা হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই তালিকাও আদালতে পেশ করেছিল ইডি। এবার আদালতে ইডির আইনজীবী দাবি করলেন যে, দিনমজুরদের পারিশ্রমিক দেওয়ার নাম করে দুর্নীতির টাকা কালো থেকে সাদা করতেন শান্তনু।

২৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে শান্তনুর সঙ্গে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল বলে দাবি ইডির আধিকারিকদের। তদন্তকারীদের দাবি, বিপুল অঙ্কের অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শান্তনু। এর আগেই শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩০০ জনের তালিকা পেয়েছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। তবে কুন্তলের আইনজীবীর দাবি, শান্তনু এত বোকা নন যে, চারদিকে যখন নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তল্লাশি চলছে তখন তিনি বাড়িতে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি রেখে দেবেন।

হুগলীর দুই প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্য়ে ঘনিষ্ঠতা ছিল ভালোরকম। রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার নাম করে বিপুল অঙ্কের টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে দুজনের বিরুদ্ধেই। এবার তদন্তে নেমে শান্তনুর সম্পর্কে বিস্ফোরক কিছু তথ্য় পেল ইডি। সেই তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে মূলত প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে এই বিপুল অঙ্ক নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। আর তার মূল পাণ্ডা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইডির তদন্তকারীদের দাবি অত্যন্ত সুকৌশলে চাকরি দুর্নীতির টাকা সরানোর কাজ করতেন শান্তনু। সহজে সেই দুর্নীতি ধরা পড়বে না বলে আটঘাট বেঁধেই কাজ করতেন তিনি। সূত্রের খবর, দিনমজুরদের মজুরি দেওয়ার নাম করে একটি বিশেষ ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট খুলেছিলেন শান্তনু। সেখানে চেকবইতে দিনমজুরদের দিয়ে সই করিয়ে নিতেন তিনি। এটাই ছিল দুর্নীতির টাকা সরানোর অন্যতম পথ। তবে, এখানেই থেমে থাকেনি তাঁর দুষ্কর্ম। জানা গেছে, একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে প্রভাব খাটিয়ে কাজ দেওয়ার কাজ করতেন হুগলীর তৎকালীন এই যুবনেতা। তবে, কাজ তিনি দিতেন না মোটেই। আসলে সেখানে কাজ দেওয়ার নাম করে বিপুল অঙ্কের আর্থিক নয়ছয় করাই ছিল তাঁর ধান্দা, এমনটাই আজ আদালতে জানিয়েছে ইডি।

আরও পড়ুন-

ক্যাটরিনা কাইফ কি প্রেগন্যান্ট? নাকি, ভিকির সাথে সম্পর্কের মাঝে এসে পড়েছেন সালমান খান
বোলপুরে ট্রেন থামতেই হাত নাড়লেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ল আমজনতা

স্কুটিতে সিটবেল্ট পরবেন কীভাবে? এই প্রশ্ন নিয়েই পুলিশকে ফাইন দিতে হল বিহারের কৃষ্ণকুমারকে