সংক্ষিপ্ত

তদন্তকারী সংস্থার দাবি, শান্তনুকে গ্রেফতার করার জন্য যে ‘অ্যারেস্ট মেমো’ পাঠানো হয়েছিল, পরিবারের সদস্য হিসেবে সেটা নিতেই চাননি তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা। 

‘আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। জেল থেকে চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ গ্রেফতার হওয়ার পর এভাবেই সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব হয়েছিলেন হুগলীর যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। জেল থেকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অর্থে তিনি যে আগে থেকেই গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষ আর তাপস মণ্ডলের কথা বলতে চেয়েছেন, তা সন্দেহ করেছেন খোদ আইনজীবীরাই। কিন্তু, ইডি আধিকারিকরা দাবি করছেন যে, এই শান্তনুই আসলে ছিলেন কুন্তলের ‘গুরু’। এঁরা দুজনেই ছিলেন হুগলী জেলার তৃণমূল যুবনেতা। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর কথাতেই নাকি তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ।

তদন্তে আরও জানা গেছে যে, হুগলীর যুবনেতা হলেও দুর্নীতির টাকা নয়ছয় করার কাজ চলত কলকাতার ইএম বাইপাসের ধারের একটি অফিসে। সেখানেই তাপস মণ্ডল গিয়ে কুন্তল এবং শান্তনুর সঙ্গে সব পরিকল্পনা করতেন। সাড়ে ১৯ কোটি টাকার লেনদেনও এখানেই হয়েছিল বলে সন্দেহ করছে ইডি। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ‘প্রভাবশালীদের’ কাছে পৌঁছে দিয়েছেন শান্তনু, নিজের কাছে থাকা টাকা বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করেছেন তিনি। নিজের স্ত্রী-সহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসায় অংশীদারিত্ব ছিল তাঁর। শুধুমাত্র প্রাথমিক শিক্ষক নয়, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও শান্তনুর যোগসূত্র ছিল বলে মনে করছে ইডি।

আরেকদিকে, এই শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রয়েছেন তদন্তকারীদের নজরে। প্রিয়াঙ্কার জমা দেওয়া সম্পত্তি এবং আয়করের হিসাব মিলছে না বলে দেখা গেছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার তলবও করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি কিছুতেই হাজিরা দিতে চাননি বলে জানিয়েছে ইডি। শান্তনুর আইনজীবী দাবি করেছেন যে, শান্তনুকে গ্রেফতার করার আগে তাঁর পরিবারকে কিছুই জানানো হয়নি, সেই দাবিও সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, শান্তনুকে গ্রেফতার করার জন্য যে ‘অ্যারেস্ট মেমো’ পাঠানো হয়েছিল, পরিবারের সদস্য হিসেবে সেটা নিতেই চাননি তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা। তাঁর সঙ্গে ল্যান্ডলাইন এবং মোবাইল, উভয় মাধ্যমেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু কোনওভাবেই তাঁকে পাওয়া যায়নি বলে দাবি ইডি কর্তাদের। অর্থাৎ, গোয়েন্দাদের সামনে এসে উপস্থিত হওয়া তো দূরস্থান, কোনও অফিসারের ফোনও ধরছেন না শান্তনুর স্ত্রী। শান্তনু নিজে যদিও নিজের অ্যারেস্ট মেমো-তে সই করেছেন এবং সেটিতে তাঁর স্ত্রীয়ের কাছে অ্যারেস্ট মেমো পাঠানোর কথা উল্লেখ করা ছিল বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

আরও পড়ুন-

দিল্লির রাস্তায় জাপানি তরুণীকে জোর করে চেপে ধরে রং মাখানোর নিন্দাজনক ঘটনা, ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে চলে গেলেন নিগৃহিতা
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে আবার ছোড়া হল পাথর, একই এলাকায় ফের হামলার শিকার হল দ্রুততম ট্রেন

সংসারে সমৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য গণেশের মূর্তি রাখেন অনেকেই, কিন্তু সিদ্ধিদাতাকে ঠিক কীভাবে রাখলে তবেই ফিরবে সৌভাগ্য?