সংক্ষিপ্ত
শিক্ষাক্ষেত্র নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আবারও তৃণমূল সরকারকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। পাল্টা জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-সহ শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। তিনি বলেন 'শিক্ষা পশ্চিমবঙ্গে অশিক্ষায় পরিণত হয়েছে।' বর্তমানে এই রাজ্যে সফর করছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমনটাই মন্তব্য করেন। তাঁর অভিযোগ এই রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রেও তোলাবাজি আর কাটমানি চলছে। যা শিক্ষা ব্যবস্থাকেই আঘাত করেছে।
শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তৎকালীম মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেলে রয়েছে। একই সঙ্গে তৎকালীন শিক্ষা দফতরের কয়েকজন কর্তাও জেলে রয়েছেন। এই প্রসঙ্গে ইঙ্গিত দিয়ে এদিন ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি পুরো কেলেঙ্কারি তদন্ত করবে। দোষীদের শাস্তি দেবে। তিনি আরও বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের সবথেকে বড় অপরাধ হল নিয়োগ কেলেঙ্কারি, মিড ডে মিল কেলেঙ্কারি। তোলাবাজির মাধ্যমে টাকা তোলা আর টাকা কেটে নেওয়া।' এরপরেও তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, 'বাংলা সরস্বতীর ভূমি হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু বাংলার এই পরিস্থিতি একটি দুঃখজনক অধ্যায়। '
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে উত্তর প্রদেশের কয়েটি জায়গা এখনও পর্যন্ত ইডি রেইড করেছে? এই প্রশ্নের উত্তর আগে দিতে হবে ধর্মেন্দ্র প্রধানকে। তিনি আরও বলেন, যদি কোনও বেনিয়মের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তাঁর দল ও তৃণমূল সরকার অবশ্যই অভিযুক্ত ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আগামী দিনেও নেবে। তিনি বলেন তাঁর দলও চায় আসল ঘটনা বেরিয়ে আসুক। তবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কুণাল ঘোষ আরও বলেন বাংলার ছাত্র, শিক্ষক বা মানব সম্পদ গোটা দেশের পুঁজি। বিদেশেও এখনও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে বাংলার। তাই ধর্মেন্দ্র প্রধানের শিক্ষা-অশিক্ষা মন্তব্য তিনি মেনে নিতে পারছেন না বলেও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন।
শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি আর মিড ডে মিল নিয়ে এর আগেও সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি মিড ডে মিল নিয়ে তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিও পাঠিয়েছিলেন রাজ্যে। বেশ কয়েক দিন ধরে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। যদিও সেই সময় তৃণমূলের অভিযোগ ছিল বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের ভিত্তিতেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এই রাজ্যে এসেছিল।
আরও পড়ুন-
উত্তর ভারতের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে দিল্লির কাছেই, রইল বিস্তারিত তথ্য
শিবরাত্রি পর্যন্ত থাকবে শীতের আমেজ? জানুন কী পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস
BBCর মতই কী Mr.A-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আয়কর দফতর? সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন মহুয়ার