সংক্ষিপ্ত
আবারও মহুয়া মৈত্রের নিশানায় কেন্দ্রীয় সরকার ও আদানি গোষ্ঠী। বিবিসির দফতর আয়কর হানার পরই কেন্দ্রের সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদ।
বিবিসি-র অফিসে আয়কর দফতরের হানা নিয়েও আদানিকে টার্গেট করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মহুয়া মৈত্র। সরাসরি নয়। তিনি মিস্টার এ বলেই টুইট করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন বিবিসির দফতর আয়কর হানা হল। এবার কি সেবি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মিস্টা এ-র দিকে নজর দেবেন?
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তৃণমূল সাসংদ বলেন, 'ভ্যালেন্টাইন ডে-র দিনে সার্ভে করেছে এজেন্সিগুলি। ইনকাম ট্যাক্স দফতর , সেবি বা ইডি কি এবার সরকারের সবথেকে দামি ও প্রিয়তম মিস্টার এ দিরে নজর দেবে? ' এখানেই শেষ নয় মহুয়া আরও বলেছেন, বিবিসির দিল্লির অফিসে আয়কর হানা হয়। কিন্তু আদানি যখন সেবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে আসেন তখন সেখানে কার্পেট বিছিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান হয়। এটি খুবই অদ্ভূত বলেও দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ।
এর আগেও মহুয়া মৈত্র আদানি ইস্যুতে নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। তিনি বলেছিলেন, 'আমাদের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে।'তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র তীব্র সমালোচনা করলেন ধনকুবের গৌতম আদানির। নির্মলা সীতামণের বাজেট পেশের দিনেই গৌতম আদানি একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, নতুন শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া (FPO ) স্থগিত রেখেছে সংস্থা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংস্থাটি তার ২০,০০০ কোটি ফলো-অন শেয়ার বিক্রি করে রেখেছে। তারা আরও বলেছে, বাজারের অস্থিরতা বিবেচনা করে ফলো-অন পাবলিক অফার বা এফপিও বাতিল করেছে। পাশাপাশি সংস্থা জানিয়েছে , বিনিয়োগকারীদের দ্রুত অফপিও-র অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
আদানি-গোষ্ঠীর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, 'আপনাপ সিজের শেয়ার ৩২০০ টাকায় কেনা খুবই ব্যায়বহুল। যখন আপনি বাজার থেকে আপনার নিজের শেয়ারই ২ হাজার টাকায় কিনবেন। ' মহুয়া বলেন, 'আমাদের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে বোকা বানন হচ্ছে সেবিকে। যারা অর্থের উৎস প্রকাশ করবেন না।' বাজারে ব্যাপক কারসারি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিন সকালে একটি টুইট করে মহুয়া কটাক্ষ করে বলে বলেন যেসব ভক্তরা আদানিদের পাশে দাঁড়াতে চাইছে তাদেরও সবদিক খতিয়ে দেখা জরুরি।
কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রকাশিত হয়েছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট। তাতে বলা বলা হয়েছিল শেয়ারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে আদানিরা। এই রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই আদানিদের শেয়ারের দাম পড়তে থাকে। যার প্রভাব পড়েছে ভারতের শেয়ার মার্কেটে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি পৌঁছে গেছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে এখনও আদানি ইস্যুতে দেশজুড়ে তরজা অব্যাহত।
অন্যদিকে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর ভূমিকা নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে। এই তথ্যচিত্রের পরই বিবিসির বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রয়। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা মুম্বইয়ে বিবিসির দফতরে আয়কর দফতরের হানা তারই একটি অঙ্গ।
আরও পড়ুনঃ
ভারত ও ফ্রান্সের সম্পর্ককে এয়ার ইন্ডিয়া-এয়ারবাস চুক্তি আরও শক্ত করবে, বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
ফিতে কাটা হলেও রাস্তা নির্মাণ হয়নি, বাধ্য হয়ে নিজেদেরই হাত লাগাতে হল, স্বেচ্ছাশ্রমকে স্বাগত BDO-র