সংক্ষিপ্ত
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এটি খুবই অবাক করার মত ঘটনা যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে কারণ উপাচার্যকে তাঁর বাসভবনে টানা ১৫ দিনের জন্য বন্দি করা রাখা হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের সঙ্গে খাপ খায় না।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা নিয়ে রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করলেন বিরোধী দলনেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন ছাত্র আন্দোলনের জন্য বিশ্বভারতীয়র বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে- এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা নয়। শুভেন্দুর কথায় রাজ্য পুলিশের 'অসহযোগিতা'র কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে স্বভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়নি। শুভেন্দুর অভিযোগ, 'যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে ও অনুষ্ঠান স্থহিত করা হয়েছে তা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলার সুনামকেও কলঙ্কিত করেছে।'
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এটি খুবই অবাক করার মত ঘটনা যে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে কারণ উপাচার্যকে তাঁর বাসভবনে টানা ১৫ দিনের জন্য বন্দি করা রাখা হয়েছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যের সঙ্গে খাপ খায় না। রাজ্য পুলিশ গোটা ঘটনায় উদাসীন বলেও অভিযোগ করেছেন শুভেব্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারী আরও দাবি করেছেন, উপাচার্যের বাসভনের বাইরে যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা। নন্দীগ্রামের বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখেছেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত কয়েকজন গুন্ডা উপাচার্যের ভবনের বাইরে আন্দোলন করছে। রাজ্য পুলিশের অসহযোহিতার কারণে ক্যাম্পাসের স্বাভাকত্ব ফিরেয়ে আনা যায়নি। বিশ্বাভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম আর রাজ্যের সঙ্গে কলঙ্কিত হয়েছে। '
তবে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছেন বাম ছাত্রনেতা সোমনাথ সাউ। তিনি বলেন,যে ছাত্ররা উপাচার্যের ঘরের সামনে বসে আন্দোলন করছে তারা কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়। তারা উপাচার্যের প্রতিহিংসামূলক মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, আন্দোলনকারী ছাত্রদের মূল দাবিই হল হোস্টেলের ব্যবস্থা আরও বাড়ানো আর গবেষকদের থিসিস জমা দেওয়ার অনুমতি আদায় করা।
ছাত্রদের দাবিগুলি হল- বহিরাগত পড়ুয়াদের জন্য অবিলম্বে হোস্টেলের ঘর বরাদ্দ করা, পিএইচডি-এমফিল স্কলারদের থিসিস একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূল্যায়ণ করতে হবে- এই দুটি দাবিতে গত ২৪ নভেম্বর থেকেই সরব হয়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্যের সরকারি বাসভবন থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে বসে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। গত ৬ ডিসেম্বর থেকে উপাচার্যকে তার ঘরের বাইরে বার হতে দেয়নি। তাঁর গাড়িও আটকে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গতকালই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেছে। আগে স্থির ছিল এই অনুষ্ঠান হবে আগামী ১১ ডিসেম্বর। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ছাত্র আন্দোলনের জন্য উপাচার্য ঘরের বাইরে বার হতে পারছেন না। আর সেই কারণ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বাধা পেয়েছে। তাই আপাতত সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
ছাত্র আন্দোলনে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, আপাতত স্থগিত বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠান