সংক্ষিপ্ত

কামারহাটির বিধায়ক শুক্রবার বলেন, “মা তারার কাছে প্রার্থনা করলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে সমস্ত লড়াইয়ে যেন আমরা জয়লাভ করতে পারি”।

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডিসেম্বরের পাল্টা জবাব দিলেন কামারহাটির বিধায়ক তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। হুমকির সুরে জানিয়ে দিলেন অশান্তির সৃষ্টি করলে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। বীরভূমের রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে বৃহস্পতিবার তারাপীঠে আসেন মদন মিত্র। শুক্রবার সকালে তারাপীঠে মা তারার কাছে পুজো দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে শাণ্ডিল্য গোত্র ধরে পুজো দেন তিনি।

কামারহাটির বিধায়ক শুক্রবার বলেন, “মা তারার কাছে প্রার্থনা করলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে সমস্ত লড়াইয়ে যেন আমরা জয়লাভ করতে পারি”। তবে তিনি পরিস্কার জানিয়ে দেন অভিষেক জানিয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েত ভোটে কোন অশান্তি হবে না। তবে চাষের জন্য তিনি কোদাল, কাস্তে দেবেন। চাইলে বীরভূমের কৃষকদেরও কোদাল কাস্তে দেবেন। তিনি বলেন, “লাঙ্গল দিয়ে চাষ করেছিল বলে সীতার জন্ম হয়েছে। সীতার জন্ম না হলে বিজেপি কাকে নিয়ে দল করত”?

তারাপীঠ থেকে তিনি বেলার দিকে আসেন রামপুরহাট পুরসভায়। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, চেয়ারম্যান সৌমেন ভকত এবং অধিকাংশ কাউন্সিলর। বিজেপির ডিসেম্বর সময়সীমা নির্ধারণ প্রসঙ্গে মদন মিত্র বলেন, “১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিজেপি দাঙ্গার সৃষ্টি করেছিল। সে সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুব কংগ্রেসের সভা নেত্রী ছিলেন। এখন মমতা তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। ফলে বিজেপি দাঙ্গা বাধাতে চাইলে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না। বাংলার মানুষ তার প্রতিবাদ করবে। আমরা রক্ত দিয়ে বিজেপির বদমাইশি রুখব। তবে ডিসেম্বর পুরোটা বিজেপি থাকবে কিনা সেটাই দেখার। শুভেন্দু অধিকারী এখন জ্যোতিষী হয়ে গিয়েছেন। উনি চুনি পান্না, হীরে ধারণের উপর চলে গিয়েছে। তবে যদি অস্ত্র ধারণ হয়, তাহলে অসাধারণ হয়ে যাবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। ফলে শান্তিপূর্ণ ভোটই হবে”।

উল্লেখ্য, আসন্ন ২০২৩ সালের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গে হতে চলেছে পঞ্চায়েত ভোট। এই ভোট যথাযথ শান্তিপূর্ণভাবে হওয়ানোর জন্য বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনওরকম অশান্তি যাতে না হয়, তার জন্য তিনি সমস্ত বেআইনি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কর্তাদের। অন্যদিকে তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ তথা সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও শান্তিপূর্ণ ভোটের বার্তা দিয়েছেন মানুষের কাছে। তবে মদন মিত্রের কথায় যে সেই বার্তা নেই, তেমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।