সংক্ষিপ্ত
তিনি হলে এমন কাজ কোনও ভাবেই করতেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শোভন চট্টোপাধ্যায়ে বলেছেন,অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন ছিল। তিনি হলে এই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই অনুমতি নিতেন।
পার্কিং ফি বিতর্কে তরজা অব্যহত রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি মেয়র ফিরহাদ হাকিম পরিচালিত কলকাতা পুরসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে সমালোচনা কুণাল ঘোষের। নাম উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতেই প্রত্যাহার করা হয় বর্ধিত পার্কিং ফি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। নাম না করে বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে বিঁধলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি হলে এমন কাজ কোনও ভাবেই করতেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শোভন চট্টোপাধ্যায়ে বলেছেন,অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন ছিল। তিনি হলে এই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই অনুমতি নিতেন।
সমালোচনার সুর টেনে তিনি শোভন বলেন,'কনফিডেন্স ভালো, তবে ওভার কনফিডেন্স ভালো নয়। ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না।' পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,'এটা কখনই কাঙ্খিত নয়। আমি ৮ বছর ১৫৯ দিন কলকাতা পুরসভার মেয়র ছিলাম। ৩৬-৩৬ বছরের উপরে কলকাতা পুরসভা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে কোন জায়গা থেকে তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করেছেন, মানুষের আশির্বাদ পেয়েছেন তা জানি। কলকাতা পুরসভায় শোভন চ্যাটার্জি কোনও ফ্যাক্টর নয়, ফ্যাক্টর হচ্ছে দল এবং দলনেত্রী।
প্রসঙ্গত, হঠাৎ করে পার্কিং ফি এত বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তীব্র অসন্তুষ্ট শহরের ছোট-বড় সমস্ত ধরনের গাড়ির চালকরা। ঘণ্টা হিসেবে বাইকের পার্কিং ফি ৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে দশ টাকা করে। ৪ চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে দশ টাকার পার্কিং ফি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ টাকায়। ২ ঘণ্টা পর ২টি ক্ষেত্রেই দ্বিগুণ হারে বাড়বে পার্কিং ফি। অর্থাত্ গাড়ির ক্ষেত্রে ২০ টাকা হবে ৪০ টাকা। ৩ ঘণ্টা হলেই তা হয়ে যাবে ৮০ টাকা। এতদিন বাস, লরি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে ২০ টাকা দিতে হত। কিন্তু নতুন ফি কাঠামোয় দিতে হবে ৪০ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই বৃদ্ধি নিয়ে এবার দ্বিমত দেখা গেল শাসকদল তৃণমূলের অন্দরে।
শুক্রবার রাতে ফিরহাদ বলেন,'মুখ্যমন্ত্রী বললে পার্কিং ফি বাড়ানোর নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেব। তবে এটা সাংবাদিক বৈঠক ডেকে না বলে দলের ভিতরে বললেও হত।' তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত যে স্তরে বা যাঁরাই নিয়ে থাকুন, সরকার বা দল অনুমোদন করে না। মুখ্যমন্ত্রী জানতেন না, মুখ্যমন্ত্রীর নীতি আমজনতার ওপর যেন চাপ না বাড়ানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী মেয়রকে জানিয়ে দিয়েছেন, পুরসভা যেন এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে। মেয়রকে মুখ্যমন্ত্রী ও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বার্তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত আজকের মধ্যেই পুরসভাকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে হবে যে পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে মানুষের ওপর যেন কোনও চাপ না পড়ে।’