সংক্ষিপ্ত

বাবার শারীরিক অবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শুভ্রাংশু। বুধবার ফের 'অসুস্থ' বাবাকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুকুল-পুত্র।

মুকুল বিতর্কে জোড়ালো হচ্ছে জল্পনা। পদ্মে যোগ কি তবে অবশ্যম্ভাবি? মঙ্গলবারই এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলেছেন ছেলে শুভ্রাংশু রায়। বাবার শারীরিক অবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শুভ্রাংশু। বুধবার ফের 'অসুস্থ' বাবাকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুকুল-পুত্র। বাবার খোঁজ পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন শুভ্রাংশু। মুকুল রায় সঠিক ওষুধ খাচ্ছেন না বলেও দাবি করেছেন তিনি। বুধবার শুভ্রাংশু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন,'বাবা কেমন আছেন সেটাই জানতে পারছি না। একটা প্রেসক্রিপশন পেয়েছি। যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বাবা সেই ওষুধ খান না, এই ওষুধধ বাবা ২০২২ সালে খেতেন। এখন তা বদলে গিয়েছে।'

মঙ্গলবার মুকুলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শুভ্রাংশু। তাঁর কথায়,'পুলিশের মাধ্যমে বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে এখনও অবধি দু'বার কথা হয়েছে। আমি তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন আমাকে জানিয়ে দিল্লি আসার কথা। এটা কি ঠিক? বাবা জানিয়েছেন যে তিনি আমাকে বা পরিবারের কাউকে জানিয়ে দিল্লি আসেননি। আমি জানতে চেয়েছি তুমি যেটা করছ, সেটা সজ্ঞানে করছ তো? জবাবে বাবা বলেন হ্যাঁ।' পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। শুভ্রাংশু বলেন,'বাবা দিল্লি গিয়ে সিপিএমকে বাংলা থেকে সরানোর কথা বলেছেন। দিল্লিত সাংসদ-বিধায়ক হিসেবে দিল্লি এসেছেন বলে জানিয়েছেন। আমি আপনাদের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখিয়েছি। আপনারা খতিয়ে দেখতে পারেন। বাবা কবে ফিরবেন জানাননি। আমি জানতেও চাইনি।'

সোমবার থেকেই মুকুল রায়ের 'নিখোঁজ' হওয়াকে কেন্দ্র করে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। মুকুলের পদ্মে ফেরা ঘিরেও তৈরি হয়েছে জল্পনা। মঙ্গলবার অবশেষে এই প্রসঙ্গে মৌনতা ভাঙলেন শুভ্রাংশু রায়। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমিখি হয়ে শুভ্রাংশু বলেন,'আমি বিমানবন্দর এবং থানায় চিঠি লিখেছি। তাঁদের জানিয়েছে দু'জন ব্যাক্তি আমাকে না জানিয়ে বাবাকে নিয়ে চলে গিয়েছে। আমি থানার আইসি এবং এরায়পোর্টের ম্যানেজারকে বলেছিলাম বাবাকে যেন বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু তা হয়নি।' কিন্তু কেন ঘটনা? কী কারণে মুকুল রায়েকে দিল্লি পাঠানোর প্রয়োজন? শুভ্রাংশু জানাচ্ছেন,'আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় অভিষেককে কালিমালিপ্ত করতেই এই রাজনৈতিক খেলা। কোনও একটি দল এটি করছে। কারণ এখন নিশানা অভিষেক। তিনিই দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।' মুকুল রায়ের মানসিক এবং শারীরিক পরিস্থিতি যথেষ্ট স্থিতিশীল নয় বলেই দাবি করেছেন শুভ্রাংশু। তাঁর কথায়,'মুকুল রায় মানসিক ভাবে সুস্থ নন। এখানে টাকার খেলা চলছে।' তিনি আরও বলেন,'বাবার হাতে টাকা নেই। এখন বাবার মাসিক আয় ২১ হাজার টাকা মতো। গতকাল একটি এজেন্সির তরফে এক অবাঙালিকে বলা হয়েছে, মুকুল রায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য।' পাশাপাশি এখনও মুকুল রায়ের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি বলেও জানান তিনি। মুকুল রায় দিনে ১৮টি ওষুধ খান। এই পরিস্থিতিতে তাঁর কিছু হলে সে দায়ভার কে নেবে সেই প্রশ্নও তোলেন শুভ্রাংশু।