সংক্ষিপ্ত

'সিঙ্গুরের আন্দোলন ছিল শিল্প তাড়ানোর আন্দোলন' শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যে তোলপাড় বঙ্গরাজনীতি ।বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ

সিঙ্গুরের আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন কারণ এই আন্দোলন ঘুরিয়ে দিয়েছিলো পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। কিন্তু সিঙ্গুরে শিল্প না হতে দেওয়ার কারণ হিসেবে কিছুদিন আগেই বামফ্রন্টকে দায়ী করে বেশ সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে।তার এই বক্তব্যে বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। কিন্তু আবার তার বিরুদ্ধে ফের আওয়াজ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবার তার বক্তব্য খানিক ভিন্ন। তিনি বলেন 'সিঙ্গুরের আন্দোলন কোনও আন্দোলনই ছিল না। সিঙ্গুরের আন্দোলন ছিল শিল্প তাড়ানোর আন্দোলন', তার এই বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় রাজনৈতিকমহল। তিনি কলকাতা ন্যাশনাল লাইব্রেরির এই জনসভায় আরও বলেন যে নন্দিগ্রামের আন্দোলন নাকি ছিল কৃষক হত্যার প্রতিবাদে গড়ে ওঠা একটা আন্দোলন।লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বে বিজেপি এসে উদ্ধার করেছিল তখন কৃষকদের।

এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, ‘এত দিন একরকম জানতাম। এখন তো দেখছি ও গন্ডার প্রজাতির। এখন পিঠে সুড়সুড়ি দিলে ১০ বছর বাদে হেসে ওঠে। সিঙ্গুর আন্দোলন যখন হয়, তখন তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল না। পরে কোর্টের রায়ে প্রমাণিত হয়, আন্দোলনটি বৈধ ছিল। কারণ সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছিল, জমি অধিগ্রহণটি ভুল হয়েছিল। ওটি ২০০৫-০৬-০৭ সালের আন্দোলন। তার পর শুভেন্দু তৃণমূলের সাংসদ হয়েছেন। ওঁর বাবা-সহ গোটা পরিবার তৃণমূলের মন্ত্রী-সাংসদ হয়েছেন। তা হলে ওঁরা এই পদগুলি নিলেন কেন? কেন ক্ষমতা ভোগ করলেন? নন্দীগ্রাম মানুষের আন্দোলন ছিল। মমতাদি নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যান্য অনেক দল ছিল। পরে তাঁর প্রতিনিধি করে শুভেন্দুকে পাঠানো হয়েছিল।’