Murshidabad Crime News: পুলিশি তৎপরতায় বাজেয়াপ্ত চুরি যাওয়া সরকারি সম্পত্তি। কোথায় ঘটল এমন ঘটনা? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Murshidabad Crime News: জল জীবন মিশনের ৪৩টি চুরি যাওয়া পাইপ উদ্ধার, গ্রেফতার ৬। সময়মতো পুলিশি তৎপরতায় বড়সড় সাফল্য পেল ইসলামপুর থানা। কেন্দ্রীয় সরকারের জল জীবন মিশন প্রকল্পের ৪৩টি চুরি যাওয়া আয়রন পাইপ উদ্ধার করল পুলিশ। এই ঘটনায় চুরি কাজে ব্যবহৃত দু’টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোররাত আনুমানিক ৩টে ৩০ মিনিট নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় ইসলামপুর থানার পুলিশ। ইসলামপুর এলাকা দিয়ে একটি ছয় চাকার ট্রাকে করে ৪৩টি ডিআই আয়রন পাইপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই ট্রাকটিকে অনুসরণ করছিল একটি স্করপিও গাড়ি। পুলিশকর্মীরা দু'টি গাড়িকেই থামিয়ে তল্লাশি চালান এবং গাড়িতে থাকা ছয় ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
ধৃতদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ উঠেছে?
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধৃতেরা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল জীবন মিশন প্রকল্পের মুর্শিদাবাদ ডিভিশন-১-এর অন্তর্গত কোসবা গোআস জল সরবরাহ প্রকল্প থেকে পাইপগুলি চুরি করেছে। এই পাইপগুলি সরকারি পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজের জন্য আনা হয়েছিল।
ধৃত ছয় জনের মধ্যে দু’জন চালক, একজন মূল অভিযুক্ত যিনি চুরির মূল পরিকল্পনাকারী এবং বাকি তিন জন এই কাজে সহায়তাকারী। পুলিশ চুরি যাওয়া পাইপগুলি এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত দু'টি গাড়িই বাজেয়াপ্ত করেছে। ইসলামপুর থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে অন্য কোনও যোগসূত্র আছে কিনা, বা আরও চুরি যাওয়া সম্পত্তি উদ্ধার করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে। ধৃত সকল অভিযুক্তকে আজই।
অন্যদিকে, দমদমের বাসিন্দা শালিনী দাস কাঁথি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। রহস্য মৃত্যু তমলুকের ভাড়া ঘরে! তদন্তে তমলুক থানার পুলিশ। নিজের ভাড়া বাড়িতে রহস্য মৃত্যু ঘটে দমদমের তরুণী চিকিৎসক শালিনী দাসের। কাঁথি সাব ডিভিশন হাসপাতালে কর্মরত আনাস্থেসিস্ট ছিলেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন শনিবার সকাল ৭ টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ডক্টর শালিনী দাস। যখন বাড়ি ফেরেন তখন সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। বাড়ি ফেরার কিছু সময় পরেই তার মায়ের বাঁচাও চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশীরা। যখন ছুটে যান তখন দেখেন হাতে থাকা চ্যানেল থেকে রক্তপাত হচ্ছে। যে বাড়িতে ভাড়ায় থাকতেন তার পাশেই একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়। সেখান থেকে তমলুক মেডিকেল কলেজের রেফার করা হয়। তমলুক মেডিকেল কলেজে গেলে সেখানকার ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনায় তমলুক থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি সকাল থেকেই অসুস্থ ছিলেন। যে বেসরকারি হাসপাতালে তিনি এনেস্থেসিয়া দিতে গিয়েছিলেন সেখানেই তিনি হাতের চ্যানেলের মাধ্যমে ঔষধ নেন। ইতিমধ্যেই শালিনীর দেহ পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। যতক্ষণ না রিপোর্ট আছে ততক্ষণ কিছুই জানানো যাচ্ছে না বলেই পুলিশ জানিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


