সংক্ষিপ্ত

তরুণ স্বপ্ন প্রকল্পে ট্যাব কেনার জন্য বরাদ্দ টাকা নিয়ে রহস্য। কিছু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে টাকা না ঢুকলেও, অন্যদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দ্বিগুণ টাকা। শিক্ষা দফতর তদন্ত শুরু করেছে।

পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা কী ভাবে অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। এই নিয়ে বিতর্ক চলছে দীর্ঘদিন। এবার প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির মোট ৪৮৪১ জন পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গড়ে ২০ হাজার টাকা ঢুকেছে। তরুণ স্বপ্ন প্রকল্পে মমতার সরকার ট্যাব কেনার জন্য পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা দেয়। সেখানে কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পেয়েছে দ্বিগুণ টাকা। কীভাবে তারা পেল এত টাকা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

মুর্শিদাবাদ জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাবের জন্য বরাদ্দের দ্বিগুণ অর্থ যাঁরা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছে জঙ্গিপুরের নটি হাই স্কুলের ছাত্রছাত্রী। আমতলা হাই স্কুল, আনন্দমণি বালিকা বিদ্যালয়, ডাঙাপাড়া মুক্তারপুর হাই স্কুল, বৃন্দাবনপুর এস স্মৃতি হাইস্কুল, দুর্লভপুর হাই স্কুল এবং সর্বাঙ্গপুর বিদ্যাপীঠের একাদশ দ্বাদশের পড়ুয়ারা।

কেন কিছু সংখ্যক পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে গেল, কীভাবে গেল, গাফিলতি কোথায়, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে নেমে শিক্ষা দফতর জানতে পেরেছে রাজ্য জুড়ে ৩০০-র বেশি পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জেলার জেলা পরিদর্শকদের কাছ থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর।

এদিকে পূর্ব বর্ধমানের ৮৮ জন, পূর্ব মেদিনীপুরের ৬৫ জন এবং মালদহের ১৪৯ জন পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পাননি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে জানা গিয়েছে, কারও কারও অ্যাকাউন্টে যেমন টাকা যায়নি তেমনই কেউ কেউ পেয়েছেন দ্বিগুণ টাকা।

এই প্রসঙ্গে শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমার বলেন, ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এর পিছনে যদি কেউ যুক্ত থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি সিস্টেম-এ সমস্যা থাকে তাহলে সিস্টেম বদলে নেওয়া হবে।