সংক্ষিপ্ত

সবুজ জমি মাত্র ২১ মাসেই দিগন্ত বিস্তৃত ভেড়িতে পরিণত করেছিল। স্থানীয়দের দাবি ছিল ফসলি জমিতে নোনা জল জোর করে ঢুকিয়ে দিয়ে চোখের পলকে রাতারাতি ভেড়ি তৈরি করা হয়েছিল।

 

সন্দেশখালির প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি এলাকার মানুষের চাষের জমি দখল করে ভেড়ি তারির অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই দাবিকেই মান্যতা দিল একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া স্যাটেলাইট ইমেজ। সেখানে ছবিতে দেখা যাচ্ছে দুই বছর আগের ইমেজের সঙ্গে বর্তমান ইমেজের চূড়ান্ত ফারাক হয়েছে। যেসব জায়গা আগে সবুজ ছিল সেই সব জায়গাই বর্তমানে নীল হয়েছে। কারণ আগে ছিল চাষের জমি। তারপর সেগুলিতে জল ঢুকিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভেড়ি। আর এই ভেড়ি জুড়েই তৈরি হয়েছিল শেখ শাহজাহানের বেমান সাম্রাজ্য।

সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সবুজ জমি মাত্র ২১ মাসেই দিগন্ত বিস্তৃত ভেড়িতে পরিণত করেছিল। স্থানীয়দের দাবি ছিল ফসলি জমিতে নোনা জল জোর করে ঢুকিয়ে দিয়ে চোখের পলকে রাতারাতি ভেড়ি তৈরি করা হয়েছিল। প্রতিবাদ করলেই শাহজাহান বাহিনী বাড়ির মহিলাদের তুলে নিয়ে যেত। অনেক সময়ে আবার প্রতিবাদীদের মারধর করা হত।

সন্দেশখালির স্থানীয়দের বাসিন্দের অভিযোগ অনেক সময় শাহজাহান বাহিনীর চাপের মুখে বিঘে প্রতি জমি ৭-১০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে তারা বাধ্য হত। তাদের হাত-পা বেঁধে রেখেছিল শাহজাহান বাহিনী। পুলিশ নিষ্ক্রীয়। তাই বাধ্য হয়ে অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। স্যালেটাইট চিত্র বলছে ২০২১ সাল পর্যন্ত সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকা ছিল সবুজ শস্য শ্যামলা। সেখানে বর্তমানে অধিকাংশ জমিতে বর্তমানে তৈরি হয়েছে ভেড়ি। চাষ হয় মাছ, চিংড়ি। প্রচুর প্রচুর টাকা লাভ করে শাহজাহান বাহিনী।

স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, শাহজাহান বাহিনী যে জমি দখল করেছিল তার অধিকাংশই ছিল আদাবাসীদের জমি। তাদের ভয় দেখিয়ে জমি হাতিয়ে নিয়েছে বলেও অভিযোগ। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল সরকার বলেছে, জমি ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু স্থানীয়দের প্রশ্ন সব জমিতেই নোনা জল রয়েছে। সেই জমি উর্বরতা হারিয়েছে। তাই জমি ফিরে পেলেও যে আগের মত চাষাবাদ করা যাবে - তা নিয়ে ধ্বন্দ্ব রয়েছে।