সংক্ষিপ্ত
লোকসভা ভোটের আগে রাজনীতিতে ফিরে এলে কোন দলের হয়ে ভোট লড়বেন শোভন এবং বৈশাখী?
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গেছে, এই নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক দল । পশ্চিমবঙ্গেও শাসক বনাম বিরোধী পক্ষের দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রত্যেকদিনই সরগরম রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। আরেকদিকে, কেন্দ্রের মসনদে আবার বিজেপি ফিরে আসবে, নাকি, ক্ষমতায় আসবে অন্য কোনও দল বা একত্র জোট, তা নিয়েও চলছে তুমুল তরজা। এই জলঘোলার মাঝেই এবার রাজনীতি নিয়ে নতুন ইঙ্গিত দিলেন শোভন -বৈশাখী।
রাজনীতির ময়দানে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা শাসকদল তৃণমূলের নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে চর্চা বিস্তর। তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ও শাসকদলের বিধায়ক হওয়ার দরুন শোভনের ব্যক্তিগত জীবনও বহুল আলোচিত। তাঁর বর্তমান সঙ্গিনী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এর আগে একাধিকবার তিনি বিজেপি-তে (BJP) যোগ দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও শেষ মুহূর্তে সেই সিদ্ধান্ত বদল হয়। ফলে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে স্বভাবতই সাধারণ ভোটারদের মনে প্রশ্ন রয়েছে যে, এবারের ভোটে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আবার রাজনীতির ময়দানে দেখা যাবে কিনা।
শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের আগে রাজনীতিতে ফিরে এলেও তৃণমূলের হয়েই লড়বেন, নাকি, রাজ্যের বিরোধী দলে যোগ দেবেন, সেই নিয়ে রয়েছে সংশয়।
একসময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের মানুষ ছিলেন শোভন। বৈবাহিক জীবনে দূরত্ব বাড়ার সাথে সাথে নিজের দলের সঙ্গেও দূরত্ব বেড়ে যায় তাঁর। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপি থেকেও ঘুরে এসেছিলেন তিনি। এখন তৃণমূলের অন্দরে খবর শোনা যাচ্ছে যে, লোকসভা ভোটের আগে শোভন ও বৈশাখী দুজনেই আবার যোগ দিতে চলেছেন ঘাসফুল শিবিরে।
-
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রাজনীতিতে ফেরত আসা নিয়ে কথা বলেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সারাজীবন সৎভাবে চাকরি করতে চেয়েছিলেন। কখনও তাঁর ইচ্ছে ছিল না রাজনীতিতে আসার। কিন্তু ‘সৎ থাকতে গিয়েই’ জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে।
শোভন তাকে অনুপ্রাণিত করেছেন বলে স্বীকার করেন বৈশাখী। শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁকে বারবার বলতেন, “তুমি পারবে।”
এর আগের ভোটপ্রচারকার্যের স্মৃতিচারণা করে বৈশাখী বলেন যে, একটি গ্রামে ভোটের প্রচার করতে যাওয়ার সময় তিনি শোভনকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “আমার তো ছাপা শাড়ি নেই, কী পরব?” সেই সময়ে শোভনের উত্তর ছিল, “যা পরো , তা-ই পরবে। তুমি, তুমি হয়েই যাবে।”
বৈশাখী জানান, গ্রামের মানুষ তাঁকে আপন করে নিয়েছিলেন। বাড়ি থেকে হাতে করে অনেকে অনেক উপহারও নিয়ে এসেছিলেন। তখনই তিনি বুঝেছিলেন, মানুষের হয়ে কাজ করতে পারার মর্ম।
২৪-এর রাজনৈতিক লড়াই নিয়েও কথা বলেন বৈশাখী। তিনি বলেন, “এটা একটা বড় যুদ্ধ।”
শোভনের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসা নিয়ে বৈশাখী বলেন, “এখনও যখন বাংলার কোথাও ঘুরতে যাই, দেখি ও (শোভন) কী সুন্দর চিনতে পারছে। জানতে চাইছে, ‘তোর মেয়ের চোখে অপারেশন হল’, ‘তোর কাকা ভালো আছে?’ ওর আসলে মাটির মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ খুব ভালো। আমি তাই চাই যে, এবারের ভোটে ও কিছু একটা দায়িত্ব পাক।”