- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- Abhijit Ganguly: চাকরিহারাদের চাকরি ফেরাতে 'পরামর্শ' অভিজিতের, মমতাকে 'দিদি' বললেন বিজেপি সাংসদ
Abhijit Ganguly: চাকরিহারাদের চাকরি ফেরাতে 'পরামর্শ' অভিজিতের, মমতাকে 'দিদি' বললেন বিজেপি সাংসদ
Abhijit Ganguly: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)সঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি তথা অভিজিৎ (Abhijit Ganguly)গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বরাবরই অম্লমধুর। বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিতের একাধিক রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছিল।
- FB
- TW
- Linkdin
)
মমতা-অভিজিৎ সম্পর্ক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি তথা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বরাবরই অম্লমধুর। বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিতের একাধিক রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছিল। তেমনই রাজনীতির ময়দানেও অভিজিৎ অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।
মমতাকে 'দিদি'বললেন অভিজিৎ
সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি 'দিদি' বলে সম্বোধন করলেন। কেন তিনি দিদি বলেছেন তার কারণও নিজেরেই জনিয়েছেন।
বিপন্ন ২৬ হাজারের জীবন
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সদ্যো চাকরিহারা রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শক্ষিক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী। শুধু তাই নয়, অযোগ্যদের বেতনও সুদ সমেত ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
চাকরি এখনও বাঁচান যায়
প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি এখনও যোগ্যদের চাকরি বাঁচান যায়। কী করে চাকরি বাঁচান যায় তারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে।
অভিজিতের মত
সুপ্রিম কোর্টের ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল সম্পর্কে রায় দিতে গিয়ে অভিজিৎ বলেন 'আমি যতদূর বুঝেছি য়াঁরা জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন ও যাঁরা সত্যি সৎভাবে চাকরি করতে এসেছে তাদের আলাদা করা আজও সম্ভব।'
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন
এখানেই শেষ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে চাকরিহারাদের বাঁচাতে একটি কমিটি গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন। সেই কমিটির মাধ্যমেই সমস্যা সমাধান করতে আবেদন জানিয়েছেন।
রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে...
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁকে আজ আমি দিদি বলেই সম্বোধন করব। যেহেতু রাজনীতির উর্ধ্বে উঠতে বলেছি। দিদি এই মুহূর্তে যেন একটি কমিটি গঠন করেন।'
কেন কমিটি গঠন
কেন কমিটি গঠন করতে হবে তারও উত্তর দিয়েছেন। অভিজিৎ বলেছেন, 'আমি মনে করি , আমি যতদূর জানি, আমি যতদূর বুঝেছি যারা জালিয়ারি করে চাকরি পেয়েছেন ও যারা সৎভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের আলাদা করা সম্ভব। আমি কাউকে দোষারোপের প্রশ্নে যাব না। '
উদ্ধার করতে হবে
অভিজিৎ আরও বলেন, যারা চাকরি হারিয়েছে তাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। তাদের উদ্ধারই একমাত্র লক্ষ্য।
কমিটির সদস্য
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন কমিটির সদস্য কারা কারা হবে। তিনি বসেছেন, আমি বলব, একটি কমিটি গঠন করুন। যাঁর মাথায় চেয়ারম্যান হিসাবে শিক্ষামন্ত্রী থাকতে পারেন, যেখানে অ্যাডভোকেট জেনারেল থাকতে পারেন। যেখানে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য থাকতে পারেন। যেখানে আমি থাকতে পারি এবং যাঁরা মূল মামলাগুলি করেছিলেন সেই সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, বিক্রম ব্যানার্জি এবং ফিরদৌস শামিম..এঁরা থাকতে পারেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্য়ান এবং তাদের আইনজীবী থাকতে পারেন। এটা করে যদি আমরা আলোচনা করে এবং ওগুলো বের করে যদি আমরা একটা তালিকা তৈরি করতে পারি, যাঁরা দুর্নীতিগ্রস্তভাবে চাকরি পেয়েছেন ...আমি আজ আবার বলছি, আজ কাউকে দোষ দিতে চাই না।
রাজনীতির উর্ধ্বে উঠতে আবেদন
অভিজিৎ বলেছেন, 'এসব দোষ-গুণের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের কাজগুলো করতে হবে। ২৬ হাজার ছেলেদের বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করতে হবে। আমরা লিস্টটা তৈরি করে ফেলতে পারব বলে আমি আজও মনে করি।'
পাল্টা জবাব তৃণমূলের
পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমি ওঁর কথার জবাব দিতে চাই না। বিচারপতি হিসাবে পদত্যাগ করে বিজেপির প্রার্থী হয়ে লোকসভায় নির্বাচিত হয়ে...তিনি এ সম্পর্কে যত কম কথা বলেন ততই ভালো।'