সংক্ষিপ্ত

Omr sheetএর কারচুপি-কাণ্ডে দিল্লি থেকে গ্রেফতার নীলাদ্রি দাস। এক কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। সিবিআই আরও জেরা করতে চায় নীলাদ্রিকে।

 

স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার নীলাদ্রি দাস। অভিযোট টাকার বিনিময় শূন্য পাওয়া পরীক্ষার্থী ৫৬-৫৭, ৫৮ নম্বর পেয়েছে তারই কৃপায়। সিবিআই- সূত্রের খবর উপদেষ্টা কমিটির পাঁচ সদস্যের সঙ্গেই নীলাদ্রির যোগাযোগ ছিল। বলা যেতে পারে সুসম্পর্ক ছিল। সিবিআই সূত্রের খবর নীলাদ্রির সম্পুর্ক ভাল ছিল সুবিরেশ ভট্টাচার্য ও এসপি সিনহার সঙ্গেও। কিন্তু তার নির্দেশে সে ওএমআর শিটের নম্বর বদল করে দিতে তা জানতেই নীলাদ্রিকে জেরা করতে চায় সিবিআই। সূত্রের খবর এক কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে।

সিবিআই সূত্রের খবর শিক্ষা দফতরের আর কোনও কর্তা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাও জানতে চায় তারা। এসএসসি কোন কোনও কর্তাদের এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যোগ ছিল বা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও সিবিআই সূতিরের খবর। গাজিয়াবাদে omr sheet প্রস্তুতকারী সংস্থা এই ‘NYSA’ ছিল omr sheet প্রস্তুতকারি প্রধান সংস্থা এবং তৃতীয়পক্ষ হিসেবেই এসএসসির সঙ্গে যুক্ত ছিল। নীলাদ্রি দাস এই কোম্পানিতেই কর্মরত ছিলেন। সেক্ষেত্রে শিক্ষা দফতরের কোন আধিকারিকের নির্দেশেই যে omr sheet বিকৃত হয়েছে এই বিষয়টা কিন্তু একপ্রকার ভাবে নিশ্চিত হতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কারণ - এই নীলাদ্রি দাসের সঙ্গে উপদেষ্টা কমিটির যোগসূত্র পাওয়া গেছে। সিবিআই গাজিয়াবাদে এবং দিল্লিতে অভিযান চালিয়ে যে তথ্য তাদের হতে এসেছে তাতে দেখা গেছে - এসএসসি গ্রুপ সি নিয়োগ দূর্নীতিতে প্রায় ৩৪৮১ টি omr sheet বিকৃত করা হয়েছে। গ্রুপ ডি এর ক্ষেত্রে সেটা প্রায় ২৮২৩ টি omr sheet বিকৃত করা হয়েছে। ক্লাস নবম দশম এর ক্ষেত্রে omr sheet বিকৃতকরণের সংখ্যা ৯৫০ এরও বেশি।

নিলাদ্রি জাস আদতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বরাহনগরের বাসিন্দা। ২০০২ সালে তিনি দিল্লিতে যান। তারপর থেকে সেখানেই পাকাপাকিভাবে থেকে যান। এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবিরেশের সঙ্গে নীলাদ্রির সুসম্পর্ক ছিল বলেও জানতে পেরেছে সিবিআই কর্তারা। তবে এই ক্ষেত্রে আর কেকে যুক্ত রয়েছে তাও জানতে নীলাদ্রিকে বিষদে জেরা করা হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। দুর্নীতির কাজে নীলাদ্রির বেশ কয়েকজন সাগরেদ ছিল বলেও মনে করছে সিবিআই। তাদেরও সন্ধান শুরু হয়েছে।

 

সিবিআই সূত্রের খবর টাকার বদলে ওএমআর শিটে চাকরি প্রার্থীর শূন্য নম্বর হয়ে যেত ৫০, ২ নম্বর হয়ে যেতে ৫৩। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও একটি জালিয়াতিকাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন নীলাদ্রি দাস। ২০১৯ সালেও তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন।