- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- SSC Scam: 'অযোগ্য শিক্ষক'দের চাকরি শেষ! সুপ্রিম কোর্টের রায় মাত্র ৮ মাস চাকরি বাঁচল যোগ্যদের
SSC Scam: 'অযোগ্য শিক্ষক'দের চাকরি শেষ! সুপ্রিম কোর্টের রায় মাত্র ৮ মাস চাকরি বাঁচল যোগ্যদের
SSC Scam: সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্ষদের আবদেনে সাড়া দিয়েছে। তবে নিয়োগ দুর্নীতি যে হয়েছে আর চিহ্নিত অযোগ্য শিক্ষকদের আর চাকরি থাকছে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েয়ে। একনজরে দেখেনিন সুপ্রিম কোর্টের রায়.

এসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা
সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্ষদের আবদেনে সাড়া দিয়েছে। তবে নিয়োগ দুর্নীতি যে হয়েছে আর চিহ্নিত অযোগ্য শিক্ষকদের আর চাকরি থাকছে না তাও স্পষ্ট করে দিয়েয়ে। একনজরে দেখেনিন সুপ্রিম কোর্টের রায়
চিহ্নিত অযোগ্য শিক্ষকদের চাকরি শেষ
সুপ্রিম কোর্টের রায় এখন আর চিহ্নিত অযোগ্য শিক্ষকরা স্কুলে গিয়ে শিক্ষকতা করতে পারবেন না। পাশাপাশি তাদের গত চার বছরের মাইনে ফেরত দিতে হবে।
পড়ুয়াদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরোপুরি বাতিল করলে পড়ুয়াদের সমস্যা হতে পারে। সেই কথা বিবেচনা করে অযোগ্য চিহ্নিত নয় এমন শিক্ষকরা নতুন নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে গিয়ে শিক্ষকতা করতে পারবেন। অর্থাৎ আরও আটমাস চাকরি থেকে গেল।
রাজ্যকে নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্ট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্য সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC) নির্দেশ দিয়েছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২১৫ সালের মধ্যে নবম , দশম একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সহকারি শিক্ষক পদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের আদেশ
সপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিসন বেঞ্চ রাজ্য ও এসএসসিকে আগামী ৩১ মে ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞাপন প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে।
হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আগামী ৩১ মে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিয়ে জানাতে হবে নিয়োগপ্রক্রিয়া তারা চলতি বছরের মধ্যে অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করবে।
চাকরিারা শিক্ষা কর্মীরা
শিক্ষকদের থেকে সুপ্রিম কোর্ট কিছুটা নমনীয় হলেও শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট কড়া সুপ্রিম কোর্ট। কারণ শিক্ষা কর্মীদের ক্ষেত্রে আগের নির্দেশই বহাল রেখেছে। অর্থাৎ গ্রুপ সি আর গ্রুপ ডি-র ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল হয়েছে।
কারণ
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এই দুটি ক্ষেত্রে নিয়োগ এতটই দুর্নীতি হয়েছে যে আর আলাদা করা সম্ভব নয়। তাই দুটি ক্ষেত্রে প্যানেল বাতিলের রায়ই কার্যকর থাকছে।
সুপ্রিম রায়
গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছিল ২০১৬ সালে প্যানেল। চাকরি হারিয়েছিল ২৪৫ হাজার ৭৩৫ জন।
রায়ের প্রেক্ষিতে পর্ষদের আবেদন
আদালতে পর্ষদের আবেদনে বলা হয়, রাজ্যের ৯,৪৮৭টি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ৬,৯৫২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে শিক্ষক সঙ্কট তৈরি হবে। এই সমস্যার কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে পর্ষদের আবেদন ছিল, যাঁরা অযোগ্য হিসাবে চিহ্নিত, তাঁরা ছাড়া বাকিদের চাকরি আপাতত রাখা হোক।

