সংক্ষিপ্ত
রাজ্যের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অতিরিক্ত ৫৭৫টি সিসি ক্যামেরা বসান হয়েছে।
রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসান-সহ নিরাপত্তার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টো তার রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে সব পদক্ষেপ সম্প্রতি করা হয়েছে তারই বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬,১৭৮টি অতিরিক্ত সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
রাজ্যের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অতিরিক্ত ৫৭৫টি সিসি ক্যামেরা বসান হয়েছে। এছাড়াও কোনও হাসপাতালে কত ডিউটি রুম, শৌচাগার তৈরি করা হবে, কোথায় কতগুলি আলো বসান হবে তারও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে তারও বিস্তারিত রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানি ছিল। রাজ্যের কাছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানতে চেয়েছিল রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা বসান কাজ কতদূর এগিয়েছে। রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ ত্রিবেদী জানান, কাজ শুরু হয়েছে। আর কিছু সময় লাগবে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে। রাজ্য জানায়, ডাক্তারদের পক্ষ থেকে ২৮টি হাসপাতালের জন্য অতিরিক্ত ৮৯৩টি ডিউটি রুম, ৭২৪টি শৌচাগার, ৪,৩৪৮টি আলো ও ৬,১৭৮টি সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি করা হয়েছে। তাঁদের সব দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের রিপোর্ট অনুযায়ী হাসপাতালগুলিতে আলো লাগানোর কাজও ৩৩ শতাংশ হয়েছে। ২৫ অক্টোবরের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হবে। এখনও পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ ২৬ শতাংশ হয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। শৌচাগার ও ডিউটি রুম নির্মাণের কাজও ৪০ ও ৪৯ শতাংশ হয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।