সংক্ষিপ্ত

শনিবার ও রবিবার সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ তাই ই-ফাইলিং করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়ে নবান্নের একটি সূত্র। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করেনি কমিশ

 

বহস্পতিবার গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রায় ঘোষণার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর ২২টি জোলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যে রায় দিয়েছে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে রাজ্য ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুক্রবহার রাত বা শনিবারের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে। সোমবার এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে রাজ্য।

শনিবার ও রবিবার সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ তাই ই-ফাইলিং করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়ে নবান্নের একটি সূত্র। তবে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করেনি কমিশন। যদিও এখনও রাজ্য সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে কিছুই জানায়নি। যদিও হাইকোর্টের রায়ে অনুযায়ী রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনের সামনে রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা পুরোপুরি খোলা হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার আদালতের রায় অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। রায়ের পরে কেটে গেছে ২৪ ঘণ্টা। বাকি আর ২৪ ঘণ্টা।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের নির্দেশের তীব্র সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে সরব হন মমতা। তিনি দাবি করেন ২০১৩ সালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করিয়েছিলেন, তাতে মৃত্যু হয়েছিল ৩৯ জনের। যাইহোক নবান্নে একটি সূত্র বলছে পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্যের। পাশাপাশি বাহিনী বা পুলিশ মোতায়নের রুপরেখাও স্থির করে রাজ্য। অন্য কোনও রাজ্য থেকে পুলিশ আনার হলে তাও নির্ধারণ করে রাজ্য।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনী ও স্পর্শকাতর এলাকা ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনতে তীব্র ভর্ৎসনা করে। প্রধানবিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম কেন্দ্রীয় বাহিনী ও স্পর্শকারত বুথ নিয়ে রাজ্যের সওয়ালের পাল্টা জানতে চান এটা নিয়ে কী করে রাজ্য সরকার সওয়াল করতে পারে। তারপরই আদালত জানিয়ে দেয় 'কমিশন যদি স্পর্শকাতর বুথ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারে বাা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে তাহলে আদালত গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের নির্দেশ দিয়ে দেবে।' এদিন আদালত পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে অশান্তির কথাও উল্লেখ করে। আদালত রীতিমত ধমক দিয়ে বলে, 'পঞ্চায়েত মামলা নিয়ে রায় কার্যকর করার ব্যবস্থা না হলে আদালত নিশ্চিপ দর্শকের মত বসে থাকবে না।' আদালত রাজ্য ও নির্বাচন কমিশনকে সাবধান করে বলে, 'নিজেদের ভাবমূর্তির বজায় রাখবেন। মনোনয়ন ঘিরে অশান্তির খবর আসছে।' আদালত এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় 'রায় মেনে না নিলে চ্যালেঞ্জ করুন। নাহলে প্রয়োজনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করতে পারে আদালত। এভাবে শুধু শুধু সময় নষ্ট হচ্ছে। 'পাশাপাশি কমিশনকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমি কমিশনকে উপদেশ দেওয়ার জন্য বসে নেই। আপনারা উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। আপনাদের হাতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আপনারা যদি আমাদের নির্দেশকে কার্যকর করার মত পরিস্থিতি তৈরি না করেন তাহলে আমরাও নিশ্চুপ দর্শক হয়ে বসে থাকব না। বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা বজায় রয়েছে। পুলিশ পদক্ষেপ করুক।'