সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের বিদ্যুতের সমস্যা মেটাতে এবার ময়দানে নেমেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিদ্যুতের চাহিদায় রাশ টানতে রীতিমত নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

 

নিয়োগ দুর্নীতির কারণে এমনিতেই রাতের ঘুম ছুটেছে শিক্ষকদের। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের কারণে আরও একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে স্কুল শিক্ষক- শিক্ষিকা ও স্কুল কর্তৃপক্ষের জন্য। যা নিয়ে রীতিমত তথস্ট সকলে। কি সেই নোটিস- বিদ্যুৎ অপচয় রুখতে নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই নোটিশ স্কুলের সকলেই মানতে হবে।

তীব্র গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে। পাল্টা দিয়ে বাড়ছে লোডসেডিং। যা নিয়ে অতিষ্ট সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় স্কুলে অনেক সময়ই রাত দিন লাইট ফ্যান জ্বলতেই থাকে। তাতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ অপচয় হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন ছাড়া ক্লাসরুমে লাইট, ফ্যান না চালানোর নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

রাজ্যের বিদ্যুতের সমস্যা মেটাতে এবার ময়দানে নেমেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বিদ্যুতের চাহিদায় রাশ টানতে রীতিমত নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তেমনই খবর নবান্ন সূত্রে। তারপরই রাজ্যের শিক্ষা দফতর ও বিদ্যুৎ দফতর কোনও কারণ ছাড়া স্কুলে অযথা ফ্যান, লাইট চালিয়ে রাখা যাবে না বলেও কড়া নোটিশ জারি করেছে।

নবান্ন সূত্রের খবর বৃহস্পতিবারও রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন। সেখানেই রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মমতার বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের শিক্ষা দফতর ও বিদ্যুৎ দফতর পদক্ষেপ করেছেন। প্রত্যেকটি স্কুলে নোটিশ জারি করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।

স্কুলগুলি দীর্ঘদিন গরম ও ভোটের কারণে বন্ধ ছিল। এবার ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় বিদ্যুৎ অপচয় রুখতে পৌঁছে গেছে নোটিশ। যদিও নির্দেশ না মানলে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে তা অবশ্য বলা হয়নি বলেও সূত্রের খবর।