সংক্ষিপ্ত
ইতিমধ্যেই রানবমীকে কেন্দ্র করে রাজ্যে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হওয়া নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার সংঘর্ষকে ঘটনার বিরোধীতায় এবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি এনআইএ-এর তদন্তও দাবি করেছেন তিনি। শুক্রবার টুইটারে একটি পোস্ট দিয়ে একথা জানালেন তিনি। বৃহস্পতিবার রামনবমীকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর এবং সাঁকরাইল এলাকা। রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। হিংসা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। তৈরি হয় দাঙ্গা পরিস্থিতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই রানবমীকে কেন্দ্র করে রাজ্যে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হওয়া নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
শুক্রবার গোটা ঘটনার বিরোধিতায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মর্মে টুইটারে একটি পোস্টে তিনি লেখেন,'হাওড়া ও ডালখোলায় রাম নবমী মিছিলে সহিংসতা ও হামলার ঘটনা সম্পর্কিত আমি আজ কলকাতার মাননীয় হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছি। আমি এনআইএ তদন্তের জন্য প্রার্থনা করেছি এবং এই ধরনের এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর অবিলম্বে মোতায়েন করা হোক।'
প্রসঙ্গত,হাওড়ার ঘটনার জন্য প্রশাসনের দুর্নীতিকেই দায়ী করছেন শমিক ভট্টাচার্য। পাশাপাশি পুলিশের ব্যর্থতাকেও কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। শমিক ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন,'সার্বিক দুর্নীতি এবং প্রাতিষ্ঠানিক চুরির থেকে চোখ ফেরাতেই এই পরিকল্পিত চিত্রনাট্য তৈরি করবার ব্যর্থ প্রচেষ্টা।' তিনি আরও বলেন,'একটি অন্তত্য দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য এবং রামনবমীকে কেন্দ্র করে যেভাবে তৃণমূল নেতারা বিজেপিকে আক্রমণ করে চলেছে তার ফলই গতকালের এই ঘটনা।' পুলিশের ভূমিকাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন,'এইরকম একটা ঘটনার বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছে না। নিতে পারবে না, নেওয়ার সাহস নেই।'
শিবপুর থানা এলাকায় এদিন নাম নবমীর মিছিল ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একদিকে যখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাওড়ার রামরাজাতলায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন তখনই অন্যদিকে হাওড়ার শিবপুরে রাম সেনানির মিছিলের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। মুহুর্তের মধ্যেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শিবপুর। রামনবমী উপলক্ষে অঞ্জনি পুত্র সেনার তরফ থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ধর্মীয় শোভাযাত্রা বের করা হয়েছিল। ওই শোভাযাত্রা কিছুটা দূরে এলে মিছিলে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। কয়েকজন আহত হন বলে খবর পাওয়া গেছে। মুহুর্তের মধ্যে এলাকার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ইট বৃষ্টি শুরু হয়। বোতল ছোঁড়ারও ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি গাড়িতে। এলাকায় ছুটে আসে পুলিশ ও র্যাফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ। কারা এই হামলা চালালো তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।