দিঘার রথযাত্রায় রথের চাকা আটকে যাওয়ার ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ভিডিও প্রকাশ করে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে রথের চাকা আটকে গিয়ে কারিগররা মেরামত করার চেষ্টা করছেন। এই ঘটনার সাথে সাথে পুরীর মহারাজের বক্তব্যও আলোচনায় এসেছে।
দীর্ঘ জটিলতার পর গতকাল রথের চাকা গড়াল দিঘায়। নারকেল ফাটিয়ে সোনা ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দেওয়ার কর্মসূচি প্রথমে পালিত হয়। তারপর রথের সামনে গিয়ে উপাসনা করেন মমতা। তারপর চলে রথ।
কিন্তু, বিকেল গড়াতেই এই রথযাত্রা নিয়ে উঠল বিস্ফোরক দাবি। দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিস্ফোরক দাবি করেন যে, দিঘার রথের চাকা আটকে গিয়েছে।
শুভেন্দু লিখলেন, মহাকুম্ভ কে মৃত্যু কুম্ভ, সনাতন ধর্ম কে গন্দা (নোংরা) ধর্ম বলা, জয় শ্রী রাম-কে গালাগাল বলে উল্লেখ করা, সর্বশেষে তীর্থ ক্ষেত্রের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে ধর্ম বিরুদ্ধে আচরণ করা, যেমন মিষ্টিকে প্রসাদ বলে চালানো, ধর্মীয় বিধি না মেনে তৈরি করানো ইত্যাদি করলে ভগবানের রোষ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
শুভেন্দু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছে। সেই ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, রথের চাকায় কোনও একটি সমস্যা হওয়ায়, সেটা আটকে যায়। এরপর কারিগররা একটি হাতুড়ি নিয়ে যান। রথের চাকার কাঠের খাঁচা-টা খুলে যায়। সেটিকেই সারানোর চেষ্টা চলে। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করেন শুভেন্দু। তারপর অনেকে মিলে রথটিকে ঠেলতেও দেখা যায়।
নির্ধারিত সময় মেনেই দুপুর আড়াইটে নাগাদ দিঘার রথের দাড়িয়ে টান পড়ে। রথের সঙ্গে সঙ্গেই হাঁটেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন ইসকনের সন্ন্যাসীরা। রাস্তার দুপাশে তখন উপচে পড়া ভিড়। তবে, এদিন শুভেন্দুর এই পোস্ট নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে সদ্য প্রকাশ্যে আসে পুরীর মহারাজ গজপতি দিব্যাসিংহ দেবের কথা। তিনি বলেন, ‘পরমাত্মা রূপে কীভাবে কখন আবির্ভাব বলেন, তা পুরীই জানে। দিঘাতে তো জগন্নাথদেবের আবির্ভাব হয়নি। দারুব্রক্ষ্মরূপে জগন্নাথের আবির্ভাব হয়েছিল শ্রীক্ষেত্র পুরুষোত্তমক্ষেত্রে পুরীতেই। তাই এই স্থানকে জগন্নাথধামের আধ্যা দেওয়া হয়।…. দেখুন বিশ্বজুড়েই জগন্নাথদেবের একাধিক মন্দির তৈরি হয়েছে। কিন্তু, কেউই তা জগন্নাথধাম আখ্যা দেয়নি। দিঘায় এত সুন্দর, সুবৃহৎ মন্দির তৈরি হয়েছে এটা খুবই ভালো। কিন্তু, যে কাজ ওখানে হয়েছে শাস্ত্র ও পরম্পরার বিরুদ্ধে।’


