সংক্ষিপ্ত
বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সুর চড়িয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
শনিবার গ্রেফতার হল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এই ঘটনার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সুর চড়িয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লেখেন, টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারিতে প্রমাণিক যে, পুলিশ সরাসরি তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছে এবং আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের ঘটনার তদন্তের অভিমুখ বদলের চেষ্টা হয়েছিল। গোটা বিষয়টি কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের নজরদারিতে পরিকল্পনামাফিক হয়েছে।
অন্য দিকে, সুকান্ত মজুমদার বলেন, দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষ আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। এবারে ধর্ষণ খুনের মামলায় তথ্য লোপাটের জন্য গ্রেফতার। আশা করব এই তদন্ত সিবিআই সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেবে।
তিনি আরও বলেন যে, থানার ওসি বা কলেজের প্রিন্সিপালের পক্ষে নিজেদের বুদ্ধিতে এই কাজ করা সম্ভভ নয়। চিকিৎসকরা যখন রাতে ময়নাতদন্ত করতে অস্বীকার করে নোট দিয়ে বলেছিলেন, বিশেষ অনুমতি ছাড়া ময়নাতদন্ত সম্ভব নয়, তখন এই ওসি আগবাড়িয়ে অর্ডার দিয়ে চিটি পাঠান। উপর থেকে নিশ্চয়ই নির্দেশ ছিল। দেখতে হবে কার নির্দেশে হয়েছে। সুকান্ত দাবি করেন, অপেক্ষা করুন, গ্রেফতারির লাইন আরও লম্বা হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় গ্রেফতার হয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ৯ অগস্ট আরজি কর থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটমার তদন্ত করছে সিবিআই। এই আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার হল সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল।