সংক্ষিপ্ত
স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ মঠ ও মিশনের অন্তবর্তীকালীন সপ্তদশ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে পরবর্তীকালে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্থায়ী অধ্যক্ষ বেছে নেওয়া হবে।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নতুন অন্তবর্তীকালীন অধ্যক্ষ হয়েছেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ। শুক্রবাম রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্তের কথা জানান হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই মৃত্যু হয়েছিল অধ্যক্ষ স্মরণানন্দ মহারাজের। তারপরই এই দায়িত্ব দেওয়া হয় গৌতমানন্দজি মহারাজকে।
স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ মঠ ও মিশনের অন্তবর্তীকালীন সপ্তদশ অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে পরবর্তীকালে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে স্থায়ী অধ্যক্ষ বেছে নেওয়া হবে। ততদিন পর্যন্ত গৌতমানন্দ মহারাজ সংস্থার কাজ পরিচালনা করবেন। মিশন সূত্রের খবর গৌতমানন্দজি মহারাজ ১৯৫১ সালে রামকৃষ্ণ মিশনে যোগ দেন। স্বামী রঙ্গনাথনজিন অধীনে প্রাথমিক আধ্যাত্মিত প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। ১৯৬৬ সাল থেকে বীরেশ্বরানন্দজির অধীনে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ প্রযাত হন গত মঙ্গলবার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫। মঙ্গলবার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে রাত ৮টা ১৪ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত ২৯ জানুয়ারি থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ। ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই ছেকে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন। ২৯ জানুয়ারি মূত্রনালীতে সংক্রমণের কারণে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে শেষপর্যন্ত সেপটিসেমিয়া আক্রান্ত হন। শ্বাসকষ্টও ছিল। তিন মার্চ শারীরিক অবস্থার অবণতি হয়। তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। কিন্তু সবকিছু বিফল করে তিনি প্রয়াত হন। চিকিৎসকরা জানিয়েছে তাঁর কিডনিতেও সমস্যা ছিল। সেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি থাকার সময়ই তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।