সংক্ষিপ্ত
আমড়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহাদেব কুণ্ড বিদ্যালয়ে এসে পৌঁছাতেই ওই ছাত্রীর অভিভাবক অভিভাবিকা সহ এলাকার সাধারণ মানুষ অভিযুক্ত শিক্ষকের উপর চড়াও হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করতে থাকেন।
স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পূর্ব বর্দমান জেলার খণ্ডঘোষের আমড়াল গ্রাম। স্থানীয় মহিলারা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, আমড়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহাদেব কুণ্ডু ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেন।এরপর ওই ছাত্রী ঘটনার কথাটি স্কুল ছুটির পর তার পরিবারের লোকজনদের জানায়। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘরে। রাতভর ক্ষোভ চেপে রেখে আজ সকালে শিক্ষক স্কুলে উপস্থিত হলেই তাঁর ওপর চড়াও হয় স্থানীরা।
আজ আমড়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহাদেব কুণ্ড বিদ্যালয়ে এসে পৌঁছাতেই ওই ছাত্রীর অভিভাবক অভিভাবিকা সহ এলাকার সাধারণ মানুষ অভিযুক্ত শিক্ষকের উপর চড়াও হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করতে থাকেন। ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছায় খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ অভিযুক্ত ঐ শিক্ষককে আটক করে খণ্ডঘোষ থানায় নিয়ে আসতে গেলে গ্রামবাসীরা পুলিশকে বাধা দেন। শিক্ষকের উপর চড়াও হয়ে ওই শিক্ষককে মারধর করেন গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে পুলিশের উপরেই চড়াও হন গ্রামবাসীরা। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ কর্মীদের মারধর করেন এবং পুলিশের গাড়ির কাঁচ ভেঙে ফেলেন গ্রামবাসীরা।
পরবর্তীকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খণ্ডঘোষ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত শিক্ষককে আমড়াল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আটক করে নিয়ে আসেন খণ্ডঘোষ থানায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গতকাল রাত্রে আমরাল গ্রাম থেকে দুইজন মহিলা ও আট জন পুরুষ সহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশ কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করা, পুলিশ ভ্যানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দশ জনের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তাদেরকে আজ বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে পেশ করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে।